মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাহাড়ি খরস্রোতা ধলাই নদীর নাব্য হ্রাস পেয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। উজানের প্রবল বর্ষণে অব্যাহত ভূমিধস ও মাটি ক্ষয়ে ঢলের সঙ্গে নেমে আসা পলি ও বালি জমে নদীটির এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগেও ধলাই নদী খনন হয়নি। এতে বর্ষায় নদীর উভয় তীর উপচে বন্যার সৃষ্টি হয়। প্রতিবছর বন্যায় বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। জানা গেছে, খর¯্রােতা এই ধলাই নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা। সেখান থেকে আঁকাবাঁকা ৫৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলের হাওড় দিয়ে মনু নদীতে মিশেছে। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক যুগে নদীর তলদেশে পলি-বালি জমে স্থানে স্থানে জেগে উঠেছে বড় বড় চর।
নদীর উভয় তীর ভাঙনের ফলে নদীপারের অনেক পরিবার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নদীতীরবর্তী বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে ধলাই নদী খনন করে স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের দাবি এ অঞ্চলের ভুক্তভোগীদের। কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান জানান, প্রতিবছর নদীভাঙন এই এলাকার ফসল ও লোকজনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে। এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ধলাই নদী রক্ষা ও খনন। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, কমলগঞ্জের স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা ও তৎসংলগ্ন শহর এলাকা প্রতিরক্ষায় ৫৩০ কোটি ৯০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবনে পাঠানো হয়েছে। সমীক্ষা ও জরিপ কাজ সম্পন্ন হলেই কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ধলাই নদী রক্ষা ও কমলগঞ্জের বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।