পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের একান্ত সহযোগিতায় প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দাখিল পরীক্ষা দিল তেঁতুলিয়ার সুমাইয়া আক্তার। সে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে এবং শিলাইকুঠি বালাবাড়ির দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী। জানা যায় তিন মাস আগে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সময় ২ হাজার ৫০০ টাকা সহ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাদ্রাসার সুপার বদরুল আলম সরকারের কাছে জমা দেন। পরীক্ষার আগের দিন ২৯ তারিখ শনিবার সকালে সুমাইয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে যান। কিন্তু সুপারের কাছে এডমিট কার্ড না পেয়ে জানতে পারেন তার পরিবর্তে ভুল করে দুই বছর আগে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া আরেক সুরাইয়া নামের ছাত্রীর ফরম পূরণ করে দিয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এদিনও সপুারিনটেনডেন্ট সুমাইয়ার কাছে এডমিট কার্ড দেয়ার জন্য ৫শত টাকা নেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সুমাইয়া। পরে পরিবারের লোকজন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাতেই মাদ্রাসা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা করেন। ফলে রোববার সকাল ৯টায় এডমিট পেয়ে কালান্দিগঞ্জ সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় সুমাইয়া। পরীক্ষার্থীর পিতা গোলাম মোস্তফা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের এমন তৎপরতায় মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তেঁতুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম স্যারের মাধ্যমে রাতেই মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশন করা হয় এবং রোববার সকালে পরীক্ষার পূর্বে বোর্ড থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেন।