চাকুরীর সুবাদে বাদীর পুত্রের কাছ থেকে নেওয়া মোবাইল ও কোম্পানীর পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় আসামীদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বাদীর পুত্র ইমরান খান ও তার মা কোহিনুর বেগম। ঘটনা ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। গুরুতর আহত কোহিনুর বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবু সাইদ খান বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
রামনগর গ্রামের মৃত আলীবুদ্দীন খানের ছেলে আবু সাইদ বাদী হয়েছে দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বাদী ছেলে ইমরান খান ও ইমন খানকে ৩নং আসামি মিজানুরের ছেলে শাকিলকে কক্সবাজারে নিয়ে তাদের চাকরীস্থল ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেন। ব্যবসায়ীক কাজের জন্য ইমরান ও ইমন তাদের ব্যবহৃত ভিভো টাচ মোবাইল ফোন শাকিলের কাছে রাখে। শাকিল কোম্পানি হতে নগদ ২২ হাজার টাকা ও তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। তারা মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করেও ফেরৎ নিতে পারেননি। গত ঈদের সময় তারা বাড়িতে এসে টাকা ও ফোন ফেরৎ চাইলে হুমকী ধামকী প্রদান করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল স্থানীয় মসজিদের সামনে রাস্তার উপর শাকিলকে পেয়ে টাকা ও মোবাইল চাইলে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ফোনটি ফেরৎ দেয়। এদিন সন্ধ্যায় আসামি বিপ্লব সরদারের হুকুমে কাইয়ু সরদার, শাকিল, বাপ্পী, ইব্রাহিম, মহরম, পাইলটসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ ব্যক্তি দা, লাঠি, শাবল, রড ইত্যাদি সহকারে বাদীর বাড়িতে ঢুকে ইমরানকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে এবং এলোপাতাড়ী মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। কোহিনুর বেগম পুত্রকে ঠেকাতে গেলে বেদম মারপিট, শ্লীলতাহানি ঘটায়। রডের আঘতে মাথায় হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। আসামিরা লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। স্বাক্ষীরা এগিয়ে গেলে খুন জখমের হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত কোহিনুরকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।