রংপুরের ভিন্নজগৎ একটি পরিচ্ছন্ন বিনোদন কেন্দ্র। উত্তারাঞ্চলের বৃহত্তর এ বিনোদন কেন্দ্রটি দিন দিন দর্শনার্থীর হৃদয় কেঁড়েছে। এটির সত্বাধিকারী একজন বিনোদন প্রেমি মানুষ। তাইতো তিনি এ অঞ্চলের নারী পুরুষদের একটু বিনোদন দিতে নির্মাণ করেন ভিন্নজগৎ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সাথে এগিয়ে চলছে। প্রতি বছর প্রসারিত হচ্ছে এর পরিধি। হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদভারে প্রায়ই সময় বিনোদন কেন্দ্র ভিন্নজগৎ থাকে সরগম। এখানের নিয়ম শৃংখলা অত্যন্ত সুশৃংখল হওয়ায় অনায়াসে দর্শানার্থীরা ভিন্নজগতের বিভিন্ন উপকেন্দ্র মিউজিকগুলো উপভোগ করে থাকে।
বর্তমানে পুর্বের চেয়ে বেশ কয়েকগুন পরিধি বেড়েছে। সাথে বেড়েছে দর্শনার্থীদের মন আকর্ষণ করার মত নানান শাখা স্থান।
হাতি, ভুতের ঘর, বিমান, জলহাজাজ,রেলগাড়ী,ঝর্ণা,দৈত্যের মুখ,স্পিড বোর্ড, তাজমহলসহ অনেক কিছু।
এ কেন্দ্রের এ জি এম রিফায়েত ইসলাম জানান, করোনাকালিন সময় আমরা সরকারি নিয়ম মেনে এটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করি। তারপর স্বাভাবিক হলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এটির কার্যক্রম চালু করা হয়।
আমরা পারতো পক্ষে চেষ্ঠা করি যাতে কোন দর্শনার্থী কোন ধরনের সমস্যায় না পড়ে। আর এজন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় পুরো কেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রিত।
আমাদের মরহুম মালিক ছিলেন অত্যন্ত সৌখিন মানুষ। তার মৃত্যুর পর এটি পরিচালনা করছেন তারই সন্তান।
পাগলাপীর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে এক মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে ভিন্ন জগৎ পর্যটন কেন্দ্র।
একটু আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার পরিজনকে নিয়ে ভিন্নজগৎ ঘুরতে আসছেন অনেকেই।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক নারী পুরুষ দর্শনার্থী ভিন্নজগতের প্রশংসা করেন। তারা বলেন এখানের পরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। কোন ধরনের বিশৃংখলা নেই। দর্শনার্থীরা মনের আনন্দে অনায়াসে পুরো এলাকা ঘুরে আনন্দ উপভোগ করছেন।
তারা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান এমন একটি সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য।