ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দীর্ঘদিন ধরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই। দল ক্ষমতায় থাকলেও নেই দলীয় এমপি। স্থানীয় আওয়ামীলীগেও রয়েছে কোন্দল ও বিভক্তি। ১৪ বছর পর কাউন্সিল হলেও ৩ সদস্যের আওয়ামীলীগই পার করছে ৬ মাস। সুবিধা জনক অবস্থানে আছেন সরকারি আমলারা। আর বঞ্চিত হয়ে অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এখানে স্থানীয় আ.লীগের বড় ব্যর্থতা সরকারের উন্নয়নের উল্লেযোগ্য প্রচারণা না থাকার অভিযোগ দলীয় নেতাদের। তাই গত সোমবার মহান মে দিবস ও জাতীয় শ্রমিক দিবসের আলোচনা সভায় বোমা ফাঁটালেন আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা বলেন, আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী চাই। দলছুট কলার ছড়া জোটমুট নয়। আমরা চাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। নৌকা প্রতীক যাকেই দেওয়া হয় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে বিজয়ী করব। সকল ভেদাভেদ ভুলে এখানকার আ.লীগ এক পতাকা তলে আসবে। দলীয় এমপি না থাকায় সমগ্র দেশের মত এখানে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে বর্তমান সরকারের অর্জন, জনবান্ধব কর্মকা- ও উন্নয়ন সমূহ এখানে প্রচার হচ্ছে না। হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। এই গুলি মানুষের মুখে নেই। মিডিয়াতে প্রচার নেই। দিবসটি পালন উপলক্ষে পরিবহন শ্রমিক লীগের সম্পাদক রাজন সর্দারের সঞ্চালনায় জাতীয় শ্রমিক লীগ সরাইল শাখার সভাপতি আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি এড. কামরূজ্জামান আনসারী, শহিদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা এড. সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আবদুর রাশেদ, আ.লীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেন, যুবলীগের সাবেক সভাপতি এড. আশরাফ উদ্দিন মন্তু, নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. ইয়ার খান ও সম্পাদক মো. মন্নর আলী। এর আগে একটি র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। শ্রমিকদের ১২ দাবীর প্রেক্ষিতে রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, সরকার আপনাদের চিকিৎসা সহায়তা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা অনেক পূর্ব থেকেই দিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারি লাখ লাখ টাকা খরচ করে হাসপাতাল মোড়ে ও প্রাত: বাজার এলাকায় দুটি সিএনজি ষ্ট্যান্ড করে দিয়েছি। কিন্তু আপনারা সেখানে যাচ্ছেন না। সরাইলের প্রধান সড়কের উপর চালকরা ২৪ ঘন্টা সিএনজি রাখছেন। ফলে যানজট ও দূর্ভোগে নাকাল সাধারণ মানুষ। গত ৫-৭ বছর ধরে মানুষের কষ্ট দূর করতে আপনাদের সাথে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন দফায় দফায় সভা করেছি। কিন্তু সড়ক মুক্ত হয়নি আদৌ। আপনারা আমাদের এক দফাই মানেন না। আপনাদের ১২ দফা আমরা কেন মানব? আপনারা সকলে আসুন। আমার সাথে কথা বলুন। মানুষের কষ্ট দূর করূন। আপনাদের দাবী পূরণ করব।