ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সোমবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের টিএসসিসিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালে সংযুক্ত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা প্রচেষ্টা করাতে আপনাদের সাবুবাদ জানাচ্ছি। এ ছাড়া তিনি পূর্ণাঙ্গ কমিটির পদপত্যাশীদের সকল তথ্য যাচাই বাচাই করতে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
দীর্ঘ সাত বছর পরে হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম সভাপতি, অমিত কুমার দাস সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি ও জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্র। তবে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি তারা।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন হয়। এর তিন মাসের মাথায় সম্পাদক রাকিবের পদ পেতে অর্থ লেনদেনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হলে সভাপতি ও সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। পরে ক্যাম্পাসে আর কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি তারা। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্তির ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আশ্বাস দিলেও তা করতে পারেননি তারা।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দিয়েছে কেন্দ্র। এর ৯ মাস পরে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত নেয় দলটি। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত দীর্ঘদিন পদবঞ্চিত থাকা শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা।