ভোলার লালমোহন-কর্তারহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন পথচারীদের গলার কাটায় রূপ নিয়েছে। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সড়ক নির্মাণ কাজ থেমে আছে। রাস্তা উল্টিয়ে রেখে কাজ শেষ না করায় ধুলোর রাজ্যে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। বাস, ট্রাক থেকে শুরু করে সকল ধরণের যানবাহন চললেই পুরো সড়ক জুড়ে উড়তে থাকে ধুলো। সড়কের দুই পাশের গাছ পালা ও ঘরবাড়ি ধুলোর কারণে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। এই পথে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারীদের শরীরেও ধুলোর আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। সব মিলিয়ে ভয়ংকর এক রাস্তায় পরিণত হয়েছে লালমোহন থেকে কর্তারহাট সড়কটি। পথচারীদের মুখে এখন প্রতিনিয়ত সড়কটি নিয়ে ভর্ৎসনা শোনা যায়। দায়ীত্বশীলদেরও কোন তদারকী নেই সড়কটি নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলার এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি ৮টি প্যাকেজে ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠিান কাজ পায়। ভোলার আকতার হোসেনের মালিকানাধীন সাদিয়া আফিয়া সিমি কনস্ট্রাকশন, নবারুন ট্রেডার্স, ওটিবিএল, ওয়েস্টার ও এমএম বিল্ডার্স ৮টি প্যাকেজে কাজ শুরু করে। মোট ৯৪ কিলোমিটার রাস্তার ৭৬ কিলোমিটারের কাজ এর মধ্যে শেষ করেছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এমএম বিল্ডার্সের আওতায় লালমোহন থেকে কর্তারহাট ৯ কিলোমিটার ও বোরহানউদ্দিন থেকে কামরুদ্দিন অংশে ৯ কিলোমিটার মোট ১৮ কিলোমিটার রাস্তা উল্টে রেখে দেয় তারা। ফিনিশিং পিচ, পাথর না দেওয়ায় এই ১৮ কিলোমিটার রাস্তায় এখন ধুলোর সড়কে পরিণত হয়েছে। এমএম বিল্ডিার্সের কাজ নিয়ে এই গড়িমসির কারণে বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছেন। তবে ভোলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অঞ্জন রায় জানান, লালমোহন ও বোরহানউদ্দিনের এই অবশিস্ট কাজ নিয়ে আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তাদের মেয়াদ রয়েছে। এর মধ্যে অবশ্যই তাদের কাজ শেষ করতে হবে। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তারা পাথর ও পিচ সিলেট থেকে যথাসময়ে না আসায় কাজ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। তবে রোববার আসলে আবার কাজ শুরু করবে।