দর্শণীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন খাতে সিলেট বিভাগে প্রায় অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। পাহাড়, পানি, পাথরের বিছানা, সবুজে গেড়া চা, লেবু ও রাবার বাগান, হাওড়, টিলা, সব মিলেই প্রকৃতিকন্যা সিলেট। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও এবার ঈদের ছুটিতে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় পর্যটকদের ঢল নামে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ব্যবসা হয়েছে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট সেন্টারের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যতটা পর্যটক আশা করেছিলাম তার থেকেও বেশি পর্যটক এসেছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো হয়েছে।’ আর বাড়তি পর্যটকবরণে আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল হোটেল মোটেলগুলোতেও। সে হিসেবে আশানুরূপ ব্যবসাও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিলেটের হোটেল স্টার প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমেদ বলেন, ‘আমরা ভালো ব্যবসা করেছি, কারণ এবার পর্যটকের সংখ্যা বেশি ছিল।’
এবার ঈদের ছুটিতে সিলেটের পর্যটন খাতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে উল্লেখ করে সিলেট বিভাগের হোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি ব্যবসা হয়েছে। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ-পরিবহনসহ মিলিয়ে হাজার কোটি টাকা ব্যবসা ছাড়িয়ে গেছে।
এবার ঈদের ছুটিতে সিলেটে অন্তত দশ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ ছাড়া সিলেটের পর্যটক খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে অতন্ত ৫০ হাজার মানুষের। প্রশাসন থেকে নানামুখি উদ্যোগের মাধ্যমে প্রকৃতিকন্যা সিলেট বিভাগের পরিবেশ আরও পর্যটকবান্ধব করে তোলা হলে বাণিজ্য প্রসারিত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।