গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এ ‘প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক’ নাগরিক সংলাপে অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। তারা অভিযোগ করে বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করছেন।
বুধবার সকালে গাজীপুর প্রেস ক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এ সংলাপের আয়োজন করে। সুজনের গাজীপুর জেলা সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইস্তেখার শিশিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গাজীপুর সিটির মেয়র প্রার্থীরা।
সংলাপ অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তবেই প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৮ সালের গাসিক নির্বাচনে কতটুকু দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছিল তা সবাই জানেন। ওই নির্বাচনে আমার বড় চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রশাসন দিয়ে কেন্দ্র দখল করে এবং ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে তার সুনিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বেলা ১১টার পর ধানের শীষের এজেন্টদের ভোট কক্ষ থেকে বাহির করে দেওয়া হয়েছিল। ডিবি পুলিশ দিয়ে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ধরে নিয়ে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন অনেক এজেন্টের পকেটে টাকাও ছিল না। তাদের মানুষের কাছে ভিক্ষা করে গাড়ি ভাড়া সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। এবারের নির্বাচনেও যাতে এমন পরিস্থিতি না হয় সেজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
শাহনূর ইসলাম রনি বলেন, আমরা যারা প্রার্থী হয়েছি তারা কেউ নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য প্রার্থী হয়নি। শুধু নগরবাসীর স্বার্থে একটি সুন্দর নগরী গড়ার প্রত্যয়ে আমরা প্রার্থী হয়েছি। নগরীর সবার সমস্যা সামনে রেখেই আমরা নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করব। নাগরিকদের চাহিদাগুলো সামনে রেখে যেভাবে নগরীকে সাজালে সুন্দর হয় সেভাবেই সবার সহযোগিতা নিয়ে নগরীকে সুন্দরভাবে সাজানো হবে।