পঞ্চগড়ের বোদায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, কিন্তু দাম নিয়ে কৃষক শঙ্কিত। কারণ এই উপজেলায় বোরো ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে ঝর বৃষ্টি লেগেই থাকে। তখন বাজারে ধানের দাম কমে যায়। ধান ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত কৃষকরা বোরে ধানের নায়্য দাম পায় না। উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। কৃষকদের লাগানো জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা পাকা ধান কাটতে শুরু করবে বলে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। উপজেলার দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠ। কৃষকের স্বপ্নের ধান বর্তমানে ধারণ করেছে সোনালী রং। পাকা ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে বোরো ধান পাকতে শুরু হবে এই উপজেলায়। ধান কাটা মাড়াই পুরো দমে শুরু হলেই কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে। উপজেলার পাঁচপীর, বড়শশী, কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ, সাকোয়া, মাড়েয়া বামনহাট, চন্দনবাড়ি, বেংহারী বনগ্রাম, ময়দানদিঘী, জলইশালশিরি ইউনিয়নের সব এলাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আগের বছরগুলোতে এ রকম ভালো ফলন হয়নি। সার, ওষুধ ও শ্রমিকের দাম এ বছর বেশি হওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তারপরও বোরো ধান ভালো হওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার নয়াদিঘী গ্রামের কৃষক নুরনবী, জিয়ারুল, মাঝগ্রামের কৃষক মহব্বত, আশরাফুল জানান, চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা আরো জানান, আগের বছরগুলোতে এমন ধান হয়নি। তবে সারের মুল্য ও কৃষি শ্রমিকের মূল্য একটু বেশি। বাজারে ধানের মূল্য বেশি হলে তারা বোরো ধান চাষে লাভবান হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আহম্মেদ রাশেদ উদ নবী জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ২শত হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে একটি বেশি অর্জিত হয়েছে। ধান চাষ বৃদ্ধি করা জন্য কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত মানের ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সেই সাথে ধানে পোকা মাকর ও ব্রাষ্ট ভাইরাস না থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।