কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলীসহ ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ে ধান কাটা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এই বছর হাওড়ে একমাত্র বি.আর-২৮ ধান ও বি.আর-২৯ ধান প্রায় অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য জাতের ধান বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জের হাওড়ে হারবেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হয়েছে। জানা যায়, বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের হাওড়গুলোতে ৪৫টি হারবেষ্টার মেশিন দিয়ে ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। এ ছাড়া টানে ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষকদের টানের জমিগুলো প্রতি একর ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় ধান কাটার ফলে এইসব জমিগুলো কৃষকরা লোকসানের মুখ দেখছেন। কৃষকরা জানান, তাদের জমি কাটতে গিয়ে প্রতি কৃষককে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা দিতে হচ্ছে। এখন ধানে বাজার মূল্য ৯শত টাকা থেকে ৯শত ২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তারা বলেন। তারা আরো জানান, বিভিন্ন এনজিও, মহাজনের চড়াসুদ ও ব্যাংক থেকে ঋণ এনে কৃষি জমিগুলো করতে গিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গোলাভরা ধান এই প্রবাদটি এখন গল্পের মতো মনে হচ্ছে তাদের। এইদিকে নিকলী ও কুলিয়ারচর হাওরে এইবছর অধিকাংশ জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.বি.এম রকিবুল হাসান এই প্রতিবেদককে জানান, বাজিতপুরে হাওড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমি চাষ করা হয়েছে। এতে ৫৩ হাজার মেক্টিকটন ধান হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এই বছর ধান বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।