কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন, দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহমেদ মামুন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর উপজেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক জনসংখ্যার আশা -ভরসা বা আস্থার প্রতীক হিসাবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার উদ্যোগে দৌলতপুরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে বাল্য বিয়ে নিরোধ, মাদকের অপব্যবহার রোধ, সড়ক নিরাপত্তা নিশিচত সহ নানা বিষয়ে রোড‘শো অনুষ্ঠিত হয়। সঠিকভাবে সরকারী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও সুচারুরুপে বাস্তবায়ন করে আসছেন। যাতে উন্নয়ন প্রকল্প সমুহ জনসাধারণের কল্যাণে আসে সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সম্প্রসারণে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে গ্ররুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যোগে নানা ধরণের সহায়তা প্রদান করে শিক্ষার মান উন্নয়নে ভুমিকা রেখে চলেছেন।
তাছাড়া তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও বৈশ্বিক মহামারী করোনা কালীন সময়ে নিজের সুরক্ষাকে তুচ্ছ করে সবার আগে দৌলতপুরবাসীকে সচেতন করা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হলেও মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি থেমে যাননি। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের চারবছর পুর্ণকালে তিনি দৌলতপুরের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য উপজেলাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।
উপজেলার ২১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষান মান উন্নয়ন, ও প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধকল্পে তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এলক্ষ্যে দুরবর্তী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল, প্রতিব›িদ্ধ শিক্ষার্থীদের হুইল চেয়ার, শিক্ষার্থীদের টিফিন বাটি, মিড্ ডে মিল, স্কুল ড্রেস এমনকি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ বিতরণ করে শিক্ষাথী ঝরে পড়া রোধে সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য তার প্রয়াত বাবার নামে ‘আফাজ উদ্দিন আহমেদ“ শিক্ষা বৃত্তি চালু করে প্রতিযোগীতামুলক মেধা যাচাইয়ের দ্বার উন্মোচন করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষায় এ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি গত সেপ্টেম্বর ২০২২-এ কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ঐ বছর অক্টোবর মাসে খুলনা বিভাগীয় শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সবশেষ গত মার্চে তিনি দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা সজাগ থাকায় শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন এজাজ আহমেদ মামুন কে আলোর ‘ফেরিওয়ালা“ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। বয়সে তরুন এই নেতা শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার বাবার শুণ্যতা পুরণে অগ্রসর হচ্ছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোদাচ্ছির হোসেন জানান, আমাদের প্রয়াত নেতা আফাজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন, “রাজনৈতিক বটবৃক্ষ“ তার ছায়াতলে আমরা রাজনীতি করে এসেছি। তার যোগ্য সন্তান এজাজ আহমেদ মামুন তাঁর কর্মকা- দিয়ে তার পিতার অভাবকে কিছুটা পুরণ করতে সমর্থ হয়েছেন। আমরা আশা করি তিনি দৌলতপুর উপজেলা বাসীর কল্যাণে এভাবেই কাজ করে যাবেন।
জানতে চাইলে এজাজ আহমেদ মামুন জানান, বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদ এর মত আমিও দৌলতপুরের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দায়িত্ব পাবার চার বছরে কি করেছি তা দৌলতপুর বাসী দেখেছে। আশা করি আগামীতেও দৌলতপুরের মানুষ আমাকে এভাবেই সহযোগীতা করবে।