বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আবদুর জব্বার শেখ (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়ছে। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত রাজীব শেখ (২৩) কে আশক্সক্ষাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলাকারী দেলোয়ার মুন্সীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া বড়বাক গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে স্থানীয় গ্রামের ডাবলু মুন্সীর ছেলে দেলোয়ার মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ ঘটনা নিয়ে বড়বাক গ্রামের আবদুল হকের ছেলে আঃ জব্বার শেখ (২৫) ও তৈয়ব শেখের ছেলে রাজীব শেখ (২৩) প্রতিবাদ জানায়।
এর জের ধরে ৫ মে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে গোড়া নালুয়ার বাংলাদেশ সেবাশ্রমের পাশে আঃ জব্বার শেখ ও রাজীব শেখকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। এ সময় ইভটিজিংয়ের সাথে জড়িত গোড়ানালুয়া গ্রামের ডাবলু মুন্সীর দুই ছেলে দোলোয়ার মুন্সী (৩০) ও দীন ইসলাম মুন্সী (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর উপর্যুপুরি আঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে চিতলামরী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঃ জব্বার শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরজন রাজীব শেখের অবস্থা আশক্সক্ষাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মোঃ মুক্তি বিশ্বাস জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আঃ জব্বার শেখ ও রাজীব শেখ নামে দুই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে এর মধ্যে আঃ জব্বার শেখ মারা যায় ও রাজীব শেখকে আশক্সক্ষাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, নারী ঘটিত বিষয়ে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষুদ্ধ জনতা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বাড়িতে অংগ্নি সংযোগ করেছে। লাশ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।