ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এক দর্জি ও তার ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোহাগ গংদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ৭নং বাকতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কৈয়ারচালা আদর্শ বাজারে গত ৩ মে রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত মো. আজহারুল ইসলাম (৩৫) বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের বিশৃঙ্খলা না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিট পুলিশ অফিসার এস আই স্বপন। এ সময় ওয়ার্ড মেম্বার ও মো. ফরিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. আজহরুল ইসলাম কৈয়ারচালা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের বাজারে দর্জির কাজ করেন তিনি। বিবাদীরাও পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। উভয়পক্ষের সাথে ছোট বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে শত্রুতা চলে আসছে। চলতি মাসের ৩ মে রাত ৮ টার দিকে আজহারুল ইসলাম দোকানে কাজ করছেন। হঠাৎ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মো. সোহাগ মিয়া গংরা জনতাবদ্ধ হয়ে তার দোকানে প্রবেশ করে গালগাল শুরু করে এবং টেনে হিচড়ে দোকান থেকে বের করে এলোপাথারী আঘাত করে। তার ডাক চিৎকারে তার বড় ভাই মো. শাহজাহান মিয়া ঝগড়া থামাতে এলে বিবাদীরা তাকে আটক করে জনৈক মো. ওয়াসিমের দোকানে পাকা রাস্তায় নিয়ে গলায় চেইন দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় তারা উভয়ের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তাদের আর্তনাদে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অভিযোগকারী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ফুলবাড়িয়া পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের আবু হানিফার পুত্র সোহাগ, সুমন, নবী হোসেন, হামিদুল ফরাজীর পুত্র ইব্রাহীম গংরা মিলে আমাকে ও আমার ভাইকে চিরতরে শেষ করতে না পেরে হুমকি দিয়া গেছে যে কোন মুহুর্তে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. ফরিদ হোসেন জানান, এই গ্রুপটি এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিচার প্রার্থী হয়েছেন আমি তাদের সহযোগিতা করবো। এদের কারণেই সমাজে ইভটিজিং সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোর ও যুবকরা।