বাংলাদেশের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তথ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুফিকশন নির্মাণ করেছেন। যেগুলো দেশে ও বিদেশে হয়েছে প্রশংসিত, পেয়েছে পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্র গবৎপরষবংং গধুযবস - ঞযব ইধহমষধফবংয এবহড়পরফব ঃযৎড়ঁময চধশরংঃধহর ঊুবং’ -যেখানে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানি আর্মির চালানো গণহত্যাকে পাকিস্তানিদের চোখে দেখানো হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য দলিল হিসেবে সুধীজনরা গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া ১৯৭৭ সালের ওপর তার নির্মিত একটি ডকুফিকশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রদর্শন করেছেন। তথ্যচিত্রের সত্য-উদঘাটনের ভুবনের সঙ্গে ফুয়াদ চৌধুরী এখন নির্মাণ করছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘনা কন্যা’। চলচ্চিত্রটির ৯০ শতাংশ শুটিংয়ের কাজ শেষ। মেঘনা ঘেরা উলানিয়ায় চলচ্চিত্রটির শুটিংয়ের কাজ চলছে। ব্যক্তিদ্বন্দ্বের কঠিন বিষয়কে অত্যন্ত সাবলীল উপায়ে সরল গল্পের মাধ্যমে তিনি মেঘনা কন্যা নির্মাণ করছেন। এ প্রসঙ্গে ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ডকুফিকশনের কাজ করতে গিয়ে এমন অনেক গল্পের মুখোমুখি আমি হয়েছি, যেগুলো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছাড়া বলা সম্ভব না। মেঘনা কন্যা তেমনই একটা গল্প। নারীপাঁচারের মতো একটি কঠিন বিষয়কে একদিকে যেমন দর্শকের সামনে উপস্থাপন করছি; একই সঙ্গে গ্রামীণ পটভূমিতে বলা এ গল্পে রয়েছে দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদন। মেঘনা কন্যা সব শ্রেণি-পেশার দর্শকদের জন্য। আমি আশা করি, তারা সিনেমাটি দেখে যেমন আনন্দিত হবেন, তেমনই একটা শুভ বোধ নিয়ে সিনেমা হল থেকে ফিরবেন! ‘মেঘনা কন্যা’র চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন ফাহমিদুর রহমান ও আহমেদ খান হীরক। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি, সাজ্জাদ হোসেইন, কাজী নওশাবা আহমেদসহ আরো অনেকে। সংগীতায়োজনে রয়েছেন সংগীতশিল্পী সুমী। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন কাজী সাইফুল ইসলাম এবং আনোয়ার আজাদ।