বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ব্যবসায়ী কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে লোকাল বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে এক ব্যবসায়ী মৃত্যু ও ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গৈলা গ্রামের মৃত রাম সমদ্দারের ছেলে গৈলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দার (৫২) বরিশালের মাছের আড়ত থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকার ইলিশ মাছ ক্রয়করে এবং একই উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের মৃত আবদুল রশিদ এর ছেলে গৈলা বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী সৈয়দ সরোয়ার হোসেন (৪৫) মাহিলাড়া হাট থেকে সুপারি কিনে পয়সারহাটগামী একই গাড়িতে বাড়ি ফেরার পথে দুজনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। অজ্ঞান পার্টির লোকজন এ সময় লোকাল বাসে তাদের দুইজনকে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে তাদের সাথে থাকা টাকা নিয়ে যায়। লোকাল বাসটি গৈলা রথখোলা বাসষ্ট্যান্ডে পৌছালে মাছ ব্যবসায়ীদেরকে অজ্ঞান অবস্থা বাসের হেলপাড় নামিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা ওই দুই ব্যবসায়ীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দারের শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং জ্ঞান ফিরে না আসায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করে। বরিশাল শেবাচিম এ সুনীল সমদ্দারকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে বলে জানাগেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া দুই রোগীর একজনকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আর অপর রোগীরও জ্ঞান ফিরে না আসায় ওই রাতেই তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তালুকদার মো. মনিরুজ্জামান জানান, মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দারের লাশ ময়না তদন্তে শেষে বৃহস্পতিবার তার লাশ নিজ বাড়ি গৈলা গ্রামে অন্তুষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর ব্যবসায়ী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি সৈয়দ সরোয়ার হোসেন এর ভাই আতিয়ার হোসেন জানান, আমার ভাই এখনও অবস্থায় এখন ভালো।