দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশের নদী পথের সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।
এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১০টা থেকে চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়গঞ্জসহ এ রুটে লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর।
বিআইডব্লিটিএ চাঁদপুর নৌ বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় এবং এর তীব্রতা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে। এ সংকেতের মানে হচ্ছে বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বামদিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ পরিচালকের (নৌ-নিট্রা) নির্দেশে শুক্রবার (১২ মে) রাত সোয়া ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ঢাকাণ্ডচাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা চাঁদপুর ভায়া শরীয়তপুর, মজু চৌধুরীর হাট (লক্ষ্মীপুর)-ইলিশা ঘাট (ভোলা) নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় ছোট বড় সকল লঞ্চ চলাচল আরও আগে থেকেই আতঙ্ক বাড়ায় যাত্রীর চাপ হ্রাস পেয়েছে।
রাতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় অনেক যাত্রী চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে এসে ফিরে গেছে। তদ্রƒপ ঢাকা সদরঘাটে রাত ৯-৪০ টার সময় চাঁদপুর গামী বোগদাদীয়ার একটি লঞ্চ ছেড়ে যাবার পর থেকেই সিদ্ধান্ত আসে লঞ্চ চলাচল বন্ধের।এর পর আর কোন চাঁদপুরমুখী আর কোন লঞ্চ সদরঘাট হতে ছেড়ে যায়নি।
হঠাৎ লঞ্চ বন্ধের ঘোষণায় রাতে চাঁদপুর গামী বহু যাত্রী বিপাকে পড়েন।