বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে একটি দাখিল মাদ্রাসার ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাননা। ফলে মাদ্রাসাটির শিক্ষক কর্মচারী তাদের পরিবার পরিজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মাদ্রাসায় আয়া এবং পরিছন্ন কর্মী নিয়োগ নিয়ে সভাপতির সংগে মতপার্থক্য দেখা দেয়, পরে সেটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এনিয়ে মামলা মোকর্দ্দমা হলে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। মাদ্রাসাটির নাম উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিজবলাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার আয়া ও পরিছন্ন কর্মী পদে নিয়োগ করার কথা থাকায় যথারীতি দরখাস্ত আবহান করা হয়। দুই পদের জন্য ১২ জন দরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। সভাপতি সুলতান মাহমুদ রুবেল এর পছন্দ না হওয়ায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সভাপতি সুলতান মাহমুদ রুবেল জেলা বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানা সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), মাদ্রাসার সুপার,সহ মওলানাকে। সুলতান মাহমুদ রুবেল গত ১২ ফেব্রয়ারী এ মামলা দায়ের করা করেন। মামলার ভিত্তিতে সকল রকমের বেতন-ভাতা না পায় আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। দীর্ঘ ৫ মাস শুনানী শেষে গত ২ মে ওই আদালত থেকে মাদ্রাসার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত)অফিসার সবুজ কুমার বসাক এর নিকট গত ১১ মে সুপার জাহাঙ্গীর বেতন-ভাতা চাইতে গেলে বেতন ভাতায় স্বাক্ষর করেননি। স্বাক্ষর না দিয়ে তিনি তাদেরকে ফিরে দিয়েছেন। এতে তারা হতাশ হয়েছেন।
সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও তিনি কেন আমাদের বেতন-ভাতায় স্বাক্ষর করছেন না তা আমাদের বোধগম্য নয়। এদিকে আমরা বেতন-ভাতা না পেয়ে ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী মধ্য অভাব অনাটন দেখা দিয়াছে, আমরা ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছি। এছাড়াও কোন কোন শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা-না পেয়ে ছেলে সন্তান নিয়ে এক বেলা খেয়ে দিন পার করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক বলেন, যেহেতু মাদ্রাসায় একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, সে কারণে উভয় পক্ষকে ডেকে হিয়ারিং করার পর বেতন-ভাতা বিষয় ফয়সালা করে দেওয়া হবে।