বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চরের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১ জন ৩ মাসের গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন। তবে গর্ভবতী মহিলার পেটে লাথির আঘাতে গর্ভপাতের ঘটনা-ঘটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের ছোনপচা চরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই চরের কয়েক বিঘা জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন ইউসুফ আলী। বিবাদী করা হয়েছে একই চরের আজিজুল আকন্দ, ফরিদ উদ্দীন, জিয়াদুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। অভিযোগ করা হয়াছে, বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই জোর পূর্বক জমি ভোগ দখলের চেষ্টা করে আসছেন তারা। এই অবৈধ ভোগ দখলের সাথে জড়িত আছেন স্থানীয় ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য ওসমান আকন্দ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে থানা-পুলিশের এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃতে ৬ জন পুুলিশ সদস্য ঘটনার স্থলে হাজির হয়। পুলিশ সদস্যরা পৌছুলে, ঘটনা স্থলে দুই পক্ষের লোকজন হাজির হয়। তবে তাদের উপস্থিতে বিবাদী লোকজনরা উল্লসিত হয়ে ওঠেন। কথা বলতে না বলতেই বাদী ও তার লোকজনের ওপর এলো পাথারি ভাবে মারপিট শুরু করা হয়। এতে আহত হয় রমজান আলী (৩৫), ইসহাক আলী (২৫), ইব্রাহীম (২২) ও সুমাইয়া আক্তার (২৪)। আহতরা বর্তমানে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতরা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের এসআই নজরুল ইসলামের হুকুমে এই মারপিটের ঘটনা ঘটায় তারা। এছাড়াও সুমাইয়া আক্তার বলেন, লাথির আঘাতে তার পেটে থাকা ৩ মাসের অনাগত সন্তান নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও পরে ২ দেবরকে ইউসুফ ও ইব্রাহীমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে ১৫১ ধারায় আাদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে ১ নং ওয়ার্ড সদস্য ওসমান আকন্দ বলেন, জমি জমা নিয়ে বিরোধ অনেক দিনের। আমি উভয় পক্ষকে বলেছিলাম, তোমরা ৩ বিঘা ভোগ দখল কর, আর বাকী ৪ বিঘা তাদের কে দিয়ে দাও। তবে তারা তা শোনেনি। মারপিটের সময় কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, সেখানে কি ঘটেছিল তা চরের হাজার হাজার লোকজন দেখেছে। আমি কাউকে মারপিটের নির্দেশ দেইনি। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেস কুমার চক্রবর্তী বলেন, এ ধরনের ঘটনা ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাতে পারবো।