আমার দেখা একজন সফল সমাজকর্মী ও বইপ্রেমি শ্রদ্ধেয় ফুফা মো: নুরুল হক। ছেলেবেলা থেকেই দেখে এসেছি চিকন চাকন গঠনের হলেও মনের দিকে তিনি ছিলেন অনেক প্রশস্তের। সেকেলে শিক্ষিত হলেও একজন সহজ সরল ব্যক্তি হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন। গ্রামীন জনপদে বড় হলেও তিনি শহরের আলো বাতাসেই পেয়েছেন সবচে বেশি। বিশেষ করে চাকুরীকালীন সময়ে জেলা শহরসহ সকল উপজেলায় বিএডিসির একজন কর্মচারী হিসেবে ছিলো বিশেষ বিছরণ। এই বিছরণে সমাজের অনেক রকম মানুষের সাথে চলাফেরায় নিজেকে সব পরিবেশেই খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন। একজন সরকারি চাকুরীজীবী হলেও যেমন ভাব গরিমা থাকার কথা সেসব ফুফার মধ্যে দেখিনি। সাদামাটা মানুষটি চাকুরী থেকে অবসরে গিয়েও গ্রামে অতি সহজ সরল মানুষ হিসেবেই চলেছেন। আমার দাদা প্রয়াত আ. মতিন নায়েব সাহেবকেও সেরকম দেখেছি। দাদাভাইকে হারানোর পর ফুফাকেই দাদার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পেতাম, এখন তিনিও আর নেই। আজ সবই যেনো কেবল অতীত ইতিহাস।
জন্মকাল
আমাদের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গোয়ালাপাড়া গ্রামে ১৯৫৭ সালে নিজ বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন সমাজকর্মী মো. নূরুল হক। তার পিতা মরহুম জাফর আলী মুনসী ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন সুফী ও ধর্মানুরাগী ব্যক্তিত্ব। তিনি মহিনন্দ নয়াপাড়া জামে মসজিদের দীর্ঘ ২০ বছর ইমামতির দায়িত্ব পালনসহ এলাকায় নানা জনহিতকর কাজে সহায়তা ও পরামর্শদাতা হিসাবে উদ্বুদ্ধকরণে ভূমিকা ছিল তার লক্ষনীয়। মাতা মরহুমা হোসেন বানু ছিলেন একজন পরহেজগার মহিলা। তার তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার ছোট। তার দাদা শেখ ইনামদি বৃটিশ সরকারের অনেক জোত ও তালুকের মালিক ছিলেন যা ১৯০৭ সালের এক দলিলে প্রমানিত। বনেদি এই পরিবারটি ১৯০৪ সালে নয়াপাড়া থেকে গোয়ালাপাড়ায় এসে নতুন বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেছিলেন। তাদের পুর্ব পুরুষ ছিলেন পাকুন্দিয়া থেকে আগত সাধক শেখ মতিউল্লাহ। যার বংশধররা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে রয়েছে। ফুফাকেও দেখেছি পাকুন্দিয়ার মাও.আ.হেলিম হোসাইনী সাহেবের মাহফিলে নিয়মিত যেতে। তাঁর খুব ভক্ত হিসেবে যেকোনো জলসা মিস করতেন না।
শিক্ষা ও কর্ম জীবন
শিক্ষা জীবনে মো: নূরুল হক প্রাথমিক লেখাপড়া করেন মহিনন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৭২ সালে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও নানা পারিপার্শ্বিকতার কারণে লেখাপড়ায় আর বেশীদূর অগ্রসর হতে পারেননি তিনি। নিজেকে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জড়িয়ে নেন পৈত্রিক সম্পত্তি দেখভালের কাজে। সে ক্ষেত্রে নিজেকে প্রশিক্ষিত করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কৃষির উন্নয়নে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি প্রদর্শণী শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামবাসীকে অভাব অনটনের হাত থেকে রক্ষার জন্য সুষম খাদ্য উৎপাদন ও পর্যাপ্ত আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা তৈরীকারী সংগঠন গ্রাম খাদ্য উৎপাদন কমিটির অগ্রযাত্রাকে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সে সময়ে গ্রাম খাদ্য উৎপাদন কমিটির জোড়ালো ভূমিকা নেন এবং তিনি গোয়ালাপাড়া গ্রাম খাদ্য উৎপাদন কমিটির সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ওই সময়ে মহিনন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মাহতাব উদ্দিন ইউনিয়ন খাদ্য উৎপাদন কমিটির (পদাধিকার বলে) সভাপতি ছিলেন।
গ্রামের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে গ্রাম থেকে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি দূরীকরণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সাথে উৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে যান। তিনি সেসময়ে মহিনন্দ আনসার ভিডিপি ক্লাবের একজন সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। গোয়ালাপাড়া গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্য নিয়োজিত হয়ে সমাজ কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মহিনন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মফিজ উদ্দিনের আহ্বানে “ভদ্রপাড়া গ্রাম সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রে’ তিনি “ইউনিয়ন স্বনির্ভর কর্মশালায়" অংশগ্রহণ করে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। বাস্তবে সেই প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তিনি একজন আত্মনির্ভরশীল যুবক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন এবং বিশেষ পদকে ভূষিত হন। পরবর্তীতে তিনি নিজ পৈত্রিক ভূমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় ফসল প্রদর্শনীতে সফলতা অর্জন করেন। সে সময়ের ব্লক সুপারভাইজার এনায়েতুল্লাহ সরজমিন পরিদর্শনে তার ফসলের উৎপাদনে খুশী হয়ে একজন আদর্শ চাষী হিসাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট প্রদান করেন। ঐ সময়ের বিএডিসিতে লোক নেওয়া হলে তিনি তার পরামর্শে আবেদন করেন এবং বিএডিসিতে চাকুরীতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তিনি মহকুমা ব্যবস্থাপকের কার্যালয় বিএডিসি কুলিয়ারচরে ২৫/৪/৭৭ তারিখে একজন কর্মচারী হিসাবে যোগদান করে চাকুরী পেশা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম মাহতাব উদ্দিনের সহায়তা ছিল প্রশংসনীয়। চাকুরীকালীন সময়ে ১৯৮২ সালে বিএডিসি (সার) প্রকল্পের ডিলার উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালু হলে একজন দক্ষ চাষী হিসাবে গ্রামের চাষীদের কৃষি উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণে প্রশিক্ষকের ভূমিকাও পালন করেন। সে সময়ে বিএডিসির সহায়তায় কৃষি প্রদর্শনী করে একজন আদর্শ চাষী হিসাবে সুনাম অর্জন করে বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত হন।
পারিবারিক জীবন
তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত বিএডিসি অফিসে দীর্ঘ বছর দায়িত্ব পালন করে হয়বতনগর বিএডিসি অফিস হতে ১৯৯৬ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে গোয়ালাপাড়ার আ. মতিন নায়েব অব. এর কন্যা আনোয়ারা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জনক। ছেলেদের মধ্যে ১ম। মো. আমিনুল হক সাদী (গুরুদয়াল সরকারী কলেজে থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে মাস্টার্স), ২য়: মোজাম্মেল হক মিথুন, ৩য়: মাহফুজুল হক রুবেল, ৪র্থ : আজিজুন্নাহার হেপি, ৫ম: ফারজানা আক্তার পপি।
সামাজিক কর্মকান্ড
তিনি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালে আমার দাদা আ.মতিন নায়েব সাহেব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “মহিনন্দ ইউনিয়ন ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা”র সদস্য থেকে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এ সংগঠনের মাধ্যমে অনেক ভূমিহীন মানুষের উপকার করা হতো। পরোপকারী সমাজসেবী নূরুল হক সামাজিক সংগঠন “ভদ্রপাড়া পল্লী মঙ্গল সমিতি” ভদ্রপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ইফা কর্তৃক পরিচালিত গোয়ালাপাড়া নায়েব সাহেবের বাড়ি প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি, নয়াপাড়া জামে মসজিদ প্রাক প্রাথমিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি (মাও. হুসাইন আহমদ শিক্ষক থাকাকালীন সময়)সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথেও জড়িত ছিলেন। তাছাড়া চাকুরীকালীন সময়ে বিএডিসি কর্মচারী সমিতিরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে কর্মচারীদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
চাকুরী থেকে অবসরে গিয়ে আবার পৈত্রিক ভূমি দেখাশোনার কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করেন এবং সমাজ কল্যাণে নিবেদতি ছিলেন। তার সমাজকর্ম দেখে বড় ছেলে যুব সংগঠক লেখক ও সাংবাদিক আমিনুল হক সাদীও নিজেকে সমাজ কল্যাণে নিবেদিত করেন। গড়ে তোলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারসহ নানা সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। আর সেসব প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের কার্যালয়ের জন্য তিনি কতক শতাংশ জমিও দিয়ে দেন।
বাবার ছায়া হারালো পরিবার
প্রিয় বাবার মাথার বড় ছায়াটি হারিয়ে ফেলেছে নূরুল হকের ছেলে ও পরিবার। বড় ছেলে লেখক আমিনুল হক সাদী বাবা হারানোর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাবা ছিলেন আমার মাথার ছায়া। নিজের জীবনের উন্নতির কথা ভাবেননি। সেই চাকুরীকালে আপন ভাই হারানোর পর থেকে কেমন জানি হয়ে গিয়েছিলেন বাবা। সেই সুন্দর অবয়বের মানুষটি যেনো জীর্নশীর্ণ শরীরের হয়ে গিয়েছিলেন ভাই হারানোর শোকে। চাকুরীকালে ভাইয়ের পরিবারের ভরণপোষণও তিনি চালিয়ে যেতেন। এতিম ভাতিজাদের লালন পালনেও যত্নশীল ছিলেন। বাবার এইসেবায় আমিও মুগ্ধ হয়ে যেতাম। এতিম সন্তানদের প্রতি তার এতটাই মায়া ছিলো যে বলার মতো নয়। তবে শেষ জীবনে যাদের প্রতি বেশি মায়া ছিলেন তাদের থেকে কষ্টটাও তেমন পেয়েছিলেন। প্রতিদিন সকালে বাবা আমার সংরক্ষিত বইয়ের যত্ন নেতেন। পাঠাগারের আংগিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতেন নিজ হাতেই। শুধু তাই না আমার নামে কোনো জমি নেই বলে তাই বাবা পাঠাগারের জন্য জমি দিয়ে কবি চন্দ্রাবতীর সেই আকাক্সক্ষার প্রতিফলন (চন্দ্রাবতীর বাবা মেয়ের কবিতা লিখার ও রামায়ণ লিখার স্থান করে দিয়েছিলেন)। তেমনি করে বাবাও নিজ সন্তানের মনের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে পাঠাগারের জমি দিয়ে আমাকে বড্ড প্রেরণা যুগিয়েছেন বাবা। বাবার অনেক স্মৃতি রয়েছে। বাবা ছিলেন আমার অহংকার আমার গর্ব।
সহকর্মীদের দৃষ্টিতে তিনি
মো: নুরুল হকের চাকুরীকালীন সহকর্মী মো: শাহজাহান বলেন, নূরু ভাই আমার অনেক প্রিয় একজন সহকর্মী ছিলেন। আমি যেহেতো শহরের তাই ভাইকে বলতাম গ্রামের ঐতিহ্য পিঠা খাওয়াতে। তিনি তাই করতেন। আমাদের অনেক শহকর্মী ছিলো বর্তমানে চারজন রয়েছি। আল্লাহ প্রয়াতদেরকে বেহেস্ত নসীব করুন আমিন।
বিএডিসির সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার দে বলেন, নূরুল হক আমার একজন বন্ধু ছিলেন। পরবর্তীতে বিএডিসিরও সহকর্মী ছিলেন। আমার সাথে খুব সম্পর্ক ছিলো। যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ করতেন। একদিন বড় ছেলে সাদীর বিয়ের বিষয়ে পরামর্শ করতে আসলো। পরে জানলাম যার মেয়ের বিয়ের কথা বলছেন তিনিও আমাদের এক সহকর্মী। পরবর্তীতে উভয়কে নিয়ে শুভ কাজটি সম্পন্ন করে ফেলি। আরও অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
ইন্তেকাল
বুধবার (১৯ এপ্রিল) পবিত্র মাহে রমজানের শবে কদরের দিনে বিকেল ৫.৪০ মিনিটে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সেখানে তিনি ৮ এপ্রিল ভর্তি হয়ে একাধারে ১২দিন চিকিতসা নেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে,২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
দাফন ও জানাজা
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গোয়ালাপাড়ার বাসিন্দা বিএডিসির সাবেক স্টাফ ও লেখক আমিনুল হক সাদীর পিতা মো: নুরুল হক শোক শ্রদ্ধায় সমাহিত হয়েছেন। নয়াপাড়া মাদ্রাসা মাঠে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজে মহিনন্দ ইউপির চেয়ারম্যান মো: লিয়াকত আলী, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আলী, সদর উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: সিদ্দিকুর রহমান, কৃষি বিভাগের রোকন উদ্দিন, মহিনন্দ মিছবাহুল উলুম কওমী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও.আশরাফ আলী, মহিনন্দ জুবায়দা কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাও. আলী হোসাইন, সুরাটী আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাও. আ. কদ্দুছ, প্রভাষক আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, সমাজ সেবক খুর্শিদ উদ্দিন ওয়াসী, ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য মো: আবুল কাশেম. মো: নূরুল হক ভুট্টু, নয়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাও.শফিকুল ইমলাম শাহজাহান, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য সচিব মনোয়ার হোসাইন রনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি সাইফুল মালেক চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ নিউজের জেলা প্রতিনিধি ও মানব জমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা মো: রেজাউল হাবীব রেজা, সভাপতি নাট্যকার আজিজুর রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক শফিক কবীর, কোষাধ্যক্ষ ফারুকুজ্জামান, ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ফকির মতি, ১৭ বিডি ডট কমের সম্পাদক হাজী আবু সাঈদ, দৈনিক আমার বার্তার জেলা প্রতিনিধি মো: আবুল কাশেম, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মো: আসাদুজ্জামান আসাদ, দৈনিক সারাদিনের স্টাফ রিপোর্টার আতাউল হাসান দিনার, মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সহ সাধারণ সম্পাদক শিল্পী নিরব রিপন, মহিনন্দ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, গোয়ালাপাড়া আদর্শ যুব সংস্থার সভাপতি মুহিবুল হাসানসহ রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় মুসুল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।
শোক ও সমবেদনা
এছাড়াও অনেকে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তারা হলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডক্টর মো: আতাউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাবেক পরিচালক মো: ছাদেকুজ্জামান, বর্তমান সহকারী পরিচালক হালিমা আফরোজ, গবেষণা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: কামরুজ্জামান খান, সহকারী পরিচালক মো: শহীদুল্লাহ, সদর উপজেলা কর্মকর্তা মো: আল আমিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জেডএ সাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: আবদুল কাদির ভুইয়া হিরু, জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো: আজিজুল হক সুমন, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: মাছুমা আক্তার, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক আজকের দেশ পত্রিকার সম্পাদক কাজী শাহীন খান, দৈনিক আজকের বাংলাদেশ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. আ. রাজ্জাক, বাংলা ভিশনের জেলা প্রতিনিধি একে নাছিম খান, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মুনিরুজ্জামান খান চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাইফ উদ্দিন আহমেদ লেনিন, বিডি চ্যানেল ফোরের সম্পাদক আহমাদ ফরিদ, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন চৌধুরী, দৈনিক আমার বাংলাদেশের সম্পাদক সুলতান রায়হান ভুইয়া রিপন, দৈনিক আজকের সারাদিনের বার্তা সম্পাদক জাভেদ ইকবাল, দৈনিক আজকের দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহমেদ পাপন, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আলী রেজা সুমন, বাংলাদেশ বেসরকারী গণগ্রন্থাগার সমিতির কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো: রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বর্মণ, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কবি মো: শামসুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক রোমা আক্তার, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ সুবল সরকার, সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার কামরুল ইসলাম হেলাল, কবি আসলামুল হক আসলাম প্রমুখ।
শোকালোচনা ও দুআ অনুষ্ঠান
ভোরের আলো সাহিত্য আসরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদীর পিতা মোঃ নূরুল হকের মৃত্যুতে শোক সভা আলোচনা ও দুয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মডেল থানা সংলগ্ন মডার্ণ ডেন্টালে কিশোরগঞ্জ ইতিহাস ওইতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ও ভোরের আলো সাহিত্য আসরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শোকালোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নাট্যকার মো: আজিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিআরডিবির সাবেক পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা এড.মো: নিজাম উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন বিআরডিবির উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান ভুঁইয়া। সংগঠনদ্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজাউল হাবিব রেজার পরিচালনায় মরহুমের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন এস এম জাহাঙ্গীর আলম, দন্ত চিকিৎসক হীরা মিয়া, বেতার ও টিভি শিল্পী মাসুদুর রহমান আকিল, শিল্পী নিরব রিপন, জহিরুল হাসান রুবেল, হামিদুর রহমান হামিদ, মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। মরহুমের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোরের আলো সাহিত্য আসরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী। পরিশেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দুয়া করা হয়।
মরহুমের বিদেগী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শুক্রবার বাদ জুম্মা (২৮ এপ্রিল) মহিনন্দ নয়াপাড়া জামে মসজিদ ও গোয়ালাপাড়া জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় মুসুল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে আমার ফুফার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চাই। মরহুমকে আল্লাহ বেহেস্ত নসীব করুন, আমিন। (লেখক: মো: রিয়াদ হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক-মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার, কিশোরগঞ্জ সদর)