কারীগঞ্জ নলডাঙ্গা সড়কের নির্মানাধীন রাস্তায় নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নলডাঙ্গা বাজার রংমহল ব্রিজ থেকে বানিয়াবহু মোড়ের পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিঃমিঃ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এলজিইডি’র অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “মেসার্স নিশিত বসু এন্টারপ্রাইজ” এ কাজটি করছেন। ৪ কোটি টাকার অধিক বরাদ্দকৃত রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম দূর্ভোগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারছে না এলাকার জনসাধারন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটিতে নিন্মমানের ইট, খোয়া ও পর্যাপ্ত বালি না দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তা নির্মানে মানা হয়নি নিয়মনীতি যে কারণে কোথাও সরু কোথায় চওড়া করা হচ্ছে। বিশেষ করে নলডাঙ্গা বাজারে এ নিন্মমানের ইট খোয়ার ব্যবহার অধিক দৃশ্যমান রয়েছে। নির্মাণাধীন রাস্তার তদারকী কর্মকর্তা(এসও) মাসুদুর রহমানের নিকট নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জেলা ও উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রাস্তাটি তদারকি করছেন। নিন্মমানের কাজ হলে বিষয়টি অবশ্যই দেখব। নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মান করার কোন সুযোগ নেই।এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার জোর করে নিম্নমানের ইট ও খোয়া দিয়েই কাজ করেছেন।এ সড়ক নির্মাণ কাজে ইটের খোয়া এক ইঞ্চির কথা বলা হলেও এতে ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের ইটের তিন থেকে চার ইঞ্চি বড় বড় টুকরা। এসব বড় আকারের ইটের খোয়ায় এরইমধ্যে মেকাডম করা হচ্ছে। নিশিত বসু এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ঠিকাদার রানা আহম্মেদ বলেন,কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আমাদের ছিল বিষয়টি এখন কাটিয়ে উঠেছি। কোন ধরনের সমস্যা হবে না। সঠিক নিয়মে মানসস্মুত কাজ করা হবে।এলাকার সাধারন জনগন বলছেন দীর্ঘদিন সময় পার হলে ও রাস্তাটি সম্পন্ন হয়নি। এতে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তাটির সাববেইজ করার সময় ইটের খোয়া ও বালু সমান সমান ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে চারভাগের একভাগ খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর রাস্তায় যে খোয়া দেওয়া হয়েছে, সেগুলো দুই ও তিন নম্বর ইটের। এ ছাড়া ইট ভাঁটা থেকেও দুই ও তিন নম্বর ইটের আধলা এনে খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকাদার বলেন, স্থানীয়রা যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়। ভালো ইটের খোয়াই রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান রিপন বলেন,নিন্মমানের ইট খোয়ার ব্যবহার কতৃপক্ষের গাফলতি ছাড়া কিছুই না। তারা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা রাখি। কোন ভাবেই আমার ইউনিয়নে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, শিডিউলে যা আছে তার ব্যতিক্রম করার সুযোগ নেই। তার পরও বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোন অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।