নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি ছোট শহর। পাশাপাশি এ ছোট শহর হল ঘনবসতিপূর্ণ। শহরের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষিণ দিকে। দক্ষিণে আরো রয়েছে ব্রিগেড সমান সেনানিবাস, উপজেলা পরিষদ এবং বিমানবন্দর। শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে চলে গেছে উত্তরে শেরে বাংলা সড়ক। দক্ষিণে বিমানবন্দর,সেনানিবাস এবং উপজেলা পরিষদ। পশ্চিমে কিছুটা দুরে মদিনা মোড়। উত্তরে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোড এবং পশ্চিমে শহীদ তুলশীরাম সড়ক। পাশে বেয়ে গেছে বিচালী হাটি রোড। প্রত্যেক রোডে লেগে থাকে নিত্যদিন অসহনীয় যানজট। শহরের যানজট নিরসনে পৌরসভা এবং ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবুও যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না। তারপরও ট্রাফিক বিভাগ চেষ্টা করে কম সংখ্যক জনবল নিয়ে যানজট নিরসনের। তারা অনেকটা সফলতাও পেয়েছে। যখন শহরে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে তখন নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি নিলেন হটকারী সিদ্ধান্ত। তারা সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত গেটলক গাড়ী চালু করে। তাদের এ উদ্যোগকে শহরের মানুষ সাধুবাদ জানান। কারণ এটা ভাল উদ্যোগ। তবে বাস মালিক সমিতি ওই বাসগুলো টার্মিনালে স্ট্যান্ড না করে শহরের ভিতর জিআরপি মোড়ে স্ট্যান্ড বসায়। শহরের ভিতর দিয়ে গাড়ীগুলো আসে জিআরপি মোড়ে। সেখানে ৩০ মিনিট পর পর চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড় যায়। এমনিতেই ওই জায়গাটিতে প্রতিদিন লেগে থাকে যানজট। যখন ট্রেন আসে তখন জিআরপি মোড়ে লেগে অসহনীয় যানজট। আর বাসস্ট্যান্ডটি এখানে বসায় যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করে। তাই ওই বসসস্ট্যান্ডটি দ্রুত সময় জিআরপি মোড় থেকে অন্যত্র সরানোর দাবি উঠে আসে বিভিন্ন সংগঠন থেকে। এরইমধ্যে স্ট্যান্ডটি সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও যুবমৈত্রী। এ সময় বক্তব্য বলেন ওয়ার্কার্স পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি রুহুল আলম মাস্টার, কমরেড তোফাজ্জল হোসেনসহ অনেকে। তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌরশাখা। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে ছিল নানান পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী কাজ করছে পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগ। আর ঠিক এ সময় শান্তিপ্রিয় শহরকে ঠেলে দেয়া হয় যানজটের দিকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শহরের সাংবাদিক মহলসহ সর্বস্তরের মানুষ। তারা সৈয়দপুর শহরকে যানজট মুক্ত করতে দ্রুত সময়ে বাসস্ট্যান্ডটি শহরের বাইরে কোথাও স্থানান্তরের দাবি জানান। এ ব্যাপারে তারা নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।