সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা খুলনার পাইকগাছা-কয়রাসহ দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ রোববার সারাদিন রৌদ্রোজ্জ্বল ছিলো। আকাশে মাঝেমধ্যে মেঘ দেখা গেলেও আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিলো। ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে রুদ্ধশ্বাস একটি দিন পার করছে উপকূলীবাসী। পাইকগাছায় গড়াইখালি গ্রামের বাসিন্দা শান্ত মন্ডল বলেন, আমার গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শিবসা নদী। শিবসা নদীর ভাঙনে আমাদের ওয়াপদা রাস্তা প্রায় বিলিন হতে চলেছে। যে কোনো জলোচ্ছ্বাসে একেবারে ভেঙে যাবে এ রাস্তা। তাই ঝড়ের কথা শুনে আমরা ভয় পেয়েছিলাম। কয়রা উপজেলার উত্তর মহেশ্বরীপুর, গাতিরঘেরি ও কাটকাটা এলাকায় বাঁধ ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষ। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি বাড়লে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন তারা। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। কয়রার নদীবেষ্টিত বটবুনিয়া এলাকার ই¯্রাফিল শেখ বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগে আমাদের এ অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এবার আল্লাহর রহমতে তেমন কোনো প্রভাব নেই। নদী স্বাভাবিক রয়েছে। আবহাওয়াও ভালো। আকাশে কোনো মেঘ নেই।’ খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কার কারণ নাই। তবে কালবৈশাখীর মতো দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হতে পারে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জোয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।