সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যু দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার অভিনীত চলচ্চিত্র দেশের সমাজ ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার অবদান দেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ফারুকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। অন্যদিকে ফারুকের মৃত্যুতে পৃথক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এই বিশিষ্ট অভিনেতা তার কর্মের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
স্পিকারের শোক: সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি তার রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শোক: চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক-পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যেদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
মেয়র আতিকের শোক: চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক দেশের অভিনয় শিল্পে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সোমবার এক শোকবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। বার্তায় ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন মেয়র। একই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবার, নিকটাত্মীয়, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান। মেয়র বলেন, ফারুক স্কুল জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দেন এবং এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন জাতির গর্বিত সন্তান। তিনি আরও বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক দেশের অভিনয় শিল্পে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি তার মেধা ও মনন দিয়ে অভিনয় শিল্প সমৃদ্ধ করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৬ সালে আজীবন সদস্যের সম্মাননা পান। তার মৃত্যুতে দেশ একজন প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও অসাধারণ দেশপ্রেমিককে হারালো, এ শূন্যস্থান সহজে পূরণ হওয়ার নয়।