আগামী ২০ মে থেকে চালু হচ্ছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। এ বছর একটি ট্রেন বাড়বে এবং ট্রেনের ওয়াগন বাড়িয়ে নয়টি ওয়াগন লাগানো হবে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আম পরিবহন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ উদ্যোগের কথা জানান জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান। সভায় জেলা প্রশাসক জানান, আগামী ২০ মে থেকে চালু হচ্ছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। এবার এ ট্রেনে নয়টি করে ওয়াগন থাকবে। এ ছাড়া আমের বাজার ও পরিবহন তদারকি করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে মাঠে। আমের বাজারে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে। সড়কে আম পরিবহনে কেন ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। সভায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে গতবার পাঁচটি ওয়াগন ছিল। এবার আট-নয়টি ওয়াগন থাকবে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হতে পারে। আম পরিবহনের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে দু’টি ট্রেন থাকবে। একটি ট্রেন যাবে, আরেকটি আসবে। গত বছর ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে কোনো আম পচার ঘটনা ঘটেনি। এ ট্রেনে আম ছাড়াও বিভিন্ন ফলমূল ও কৃষিপণ্য পাঠাতে পারবেন কৃষক ও উদ্যোক্তারা। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাপিয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপণ্ডপরিচালক মাসুদ আহমেদ, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাসুম আলী, ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক, কৃষি উদ্যোক্তা মুনজের আলম মানিক, আমচাষি ইসমাইল খান শামীম, কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি বছর ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে আম উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১ সালে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।