ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকায় মাটির নিচে পাইপ লাইনে একাধারে ৪ দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। মাত্র আগের দিন সোমবার দুপুর ১টার দিকে মাইকে এমন ঘোষণা শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার গৃহিনীরা। টেনশন বেড়ে গেছে সরাইল উপজেলা সদরের হোটেল রেস্তোরার মালিকদের। বিক্রি বেড়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর ‘রাইস কুকার’ নামক যন্ত্রটির। কদর বেড়ে গেছে মাটির চুলা ও সাদ্দাম লাকড়ির। সব মিলিয়ে লাইনের গ্যাসে রান্না করে অভ্যস্ত সরাইলের হাজার হাজার পরিবারের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ভারতের যৌথ চুক্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় ফোর লেন সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে সড়কের কাজ বা গ্যাস লাইন সংস্কারের কাজের কথা বলে ১/২ দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন। অনেক সময় আগাম ঘোষণা বা মাইকিং ছাড়াও বন্ধ থেকেছে। গতকাল বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশ কোম্পানীর পক্ষে মাইক সরাইলের পাড়ায় মহল্লায় ঘুরে ফিরে ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, গ্যাস লাইনে সংস্কার কাজের জন্য আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার ভোর থেকে বাখরাবাদ গ্যাস লাইনের সরাইল উপজেলায় সকল স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার ভোরে লাইন চালু হওয়ার কথা। কোন কারণে সম্ভব না হলে আগামী শনিবার ভোর থেকে গ্যাস লাইন পুরোপুরি চালু হবে। গ্যাস সরবরাহ কর্তৃপক্ষের আকস্মিক এমন ঘোষণায় এখন দিশেহারা সরাইল সদরের গৃহিনীরা। গ্যাস ছাড়া ৪ দিন পরিবারের রান্না বা খাবার তৈরী করতে হবে তাদের। কেউ মাটির তৈরী চুলা ক্রয় করছেন। সাথে সাদ্দাম লাকড়ি। অনেকেই ক্রোকারিজের দোকানে ভীর করছেন ‘রাইস কুকার’ ক্রয় করতে। আবার অনেকেই ৪ দিন হোটেলে খাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চোখ কপালে ওঠে গেছে অনেক গৃহ কর্তারও। কারণ ঘরে রান্নার কাজ না হলে আগামী পাঁচ দিন হোটেলের লম্বা বিল পরিশোধ করতে হবে পরিবার প্রধানকে। গৃহিনী সায়মা বেগম, ছাকিয়া বেগম ও রোকশানা বেগম বলেন, কয়েক দিন পরপরই সংস্কারের কথা বলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধির কারণ কী? মূল লাইনে সমস্যা থাকলে একবারে সময় নিয়ে কাজ করলে সমস্যা কী। এটাও গ্রাহকদের উপর এক প্রকারের নির্যাতন। দয়া করে এই নির্যাতন ও দূর্ভোগ থেকে আমাদের পরিত্রাণ দেয়া হউক। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, আমি এই মাত্র আপনার (প্রতিবেদকের) কাছে জানলাম। এর আগে কর্তৃপক্ষ বা অন্য কেউ জানায়নি। একাধারে ৪ দিন গ্যাস না থাকলে তো আমার বাসার রান্না ও খাবার নিয়েও ভাবতে হবে।