স্বল্প সময় স্বল্প খরচ কিন্তু লাভ বেশী। অন্য সবজি চাষের চেয়ে সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচও অনেকাংশে কম। এ কারণে ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা ও সবজি চাষের পাশাপাশি জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা তরমুজ চাষে এগিয়ে আসছেন। আগের দিনে যদিও তরমুজ গাছগুলো ডাল-পালা জমিতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেত আর ডগায় ছোট বড় ফল ধরত। এখন লাইলন সুতা, জিআই তার এবং বাঁশের খুটির (ঝাংলা) মাচায় তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। মালচিন পলি ও মাচার ব্যবহার অনেক উপকার পাওয়া যায়। তরমুজ চাষীরা জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি জমিতে থাকলে জমির তরমুজ দাগ ধরে ও পঁচে যায় কিন্তু মাচায় এমন হয়না। পঁচা ও দাগ ধরা কৃষকের যেকোন ফসল বাজারে বিক্রয়ে দাম কম পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা কৃষকদের তরমুজ চাষে পরামর্শ ও বিভিন্ন সহযোগিতা দিচ্ছেন। উপজেলার বহরমপুর গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম ৪৫’হাজার টাকা খরচ করে ১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন। ঝাংলার নিচে বিভিন্ন রংয়ের হাজার হাজার তরমুজ ঝুলছে। সে জমির তরমুজ পাইকারী দরে প্রায় পৌনে ২’লক্ষ টাকা বিক্রয় করেন। আয়মারসুলরপুর ইউপির জয়দেবপুর গ্রামের উত্তম বর্মন বলেন, গত বছর ১ একর জমিতে বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় করেছিলাম। এবছরও লাগায়েছি কিছুদিন পর বিক্রয় করব। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের এই দাম যদি থাকে সব খরচ বাদে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লাভ করব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর ২২ হেক্টর জমিতে মধুমালা, সুগারকিং, টাইগার ক্রাউন ও বাংলালিংক সহ দেশী-বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে।