৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার মানুষের নেতা ছিলেন পল্লী বন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই দেশের যোগাযোগ থেকে শুরূ করে সর্বক্ষেত্রেই এরশাদের সময়টা ছিল স্বর্ণযুগ। ৯ বছরের সফল সেই রাষ্ট্র নায়কই হচ্ছেন আসল জাতীয় পার্টির জন্মদাতা। আর রওশন এরশাদ হচ্ছেন সেই নেতার স্ত্রী। সংসদে বিরোধীয় দলীয় নেতাও এরশাদ। অথচ বেকুবেরা বলেন রওশন এখন দলের কিছুই না। গামছাই ভিজেনি যার তিনিই বলে আবার বড় কইয়ের মালিক। বিষয়টি হাস্যকর নয়কি? আমি দলীয় এক সভায় বেগম রওশন এরশাদকে বলেছিলাম, আপনি এরশাদের স্ত্রী। আপনার হিম্মত আছে। আপনি জাতীয় পার্টিকে বাঁচান। এই বক্তব্যটা আমার জন্য কাল হয়েছে। আমি তখন থেকেই একটি গ্রƒপের রোষানলে পড়েছি। চুন্নু সাহেব মুঠোফোনে আমাকে বলেছিলেন, মৃধা সাহেব আপনি কার সাথে থাকবেন বলেন। উত্তরে বলেছিলাম একটু সময় দেন। পরে বলি। সময় না দিয়ে চুন্নু সাহেব বলেছিলেন আপনাকে এখনই বলতে হবে। আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও দলের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের হাতে গড়া সৈনিক। ওঁর সাথে ছিলাম আছি ও থাকব। এরশাদের সহধর্মীনি রওশন। আমি রওশনের সাথেই আছি। সরাইলের গর্বিত সাহসী সন্তান বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের জন্ম ভূমি সরাইলের মাটিতে আমার জন্ম। এই মাটিতে জন্ম নিয়ে আমি মৃধা এরশাদের সাথে বেঈমানি করতে পারি না। সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম জিয়া বিএনপি’র প্রধান। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান। এরশাদের স্ত্রীকে জীবিত রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ভাই হয় কিভাবে? নিজেদেরই বৈধতা নেই। তারা আমাকে করে বহিস্কার। আমি জি এম কাদেরের বিরূদ্ধে মামলা করেছি। মামলা চলছে। মামলার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করূন। দেখেন কী হয়। মনে রাখবেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আমিই হব মহাজোটের এমপি। এই আসনের জনগণ আমার সাথে ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ গত ১০টি বছর আমি এখানকার মানুষের জন্য কাজ করেছি। বুধবার সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির (রওশন এরশাদ) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন সাবেক এমপি, জাপার (রওশন) কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। বক্তারা বলেন, সরাইলে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব হচ্ছে জিয়াউল হক মৃধা। স্বাধীনতার পর একমাত্র জিয়াউল হকের আমলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উল্লখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। পাঁচবারের এমপি মন্ত্রীর আমল আমরা দেখেছি। এখনো দেখছি। উন্নয়নের গন্ধ তো নেই। আবার এলাকায়ও আসেন না। জাপা নেতা আবু হানিফের সঞ্চালনায় ও উপজেলা জাপা’র সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা জাপা’র আহ্বায়ক শাহ জামাল রানা, সদস্য সচিব এড. আব্দুল্লাহ আল হেলাল, যুগ্ম সদস্য সচিব সৈয়দ মোকাব্বের, সোলেমান মজুমদার, উপজেলা জাপা’র সিনিয়র সহসভাপতি ফজলুল হক মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আজিজ, কালীকচ্ছ ইউপি জাপা’র সভাপতি সায়েদ হোসেন প্রমূখ। সবশেষে জিয়াউল হক মৃধা মো. হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি, আলী নেওয়াজকে সাধারণ সম্পাদক ও মো. মাহফুজ মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। অপরদিকে দলীয় আরেকটি সূত্র জানায়, গত ২ মে এমদাদুল হক ছালেককে আহবায়ক, মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে সদস্য সচিব করে জাপা’র (জিএম কাদের) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা জাপা’র আহ্বায়ক এড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ১০১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।