এক কিশোরীকে (১২) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এবং পঞ্চম শ্রেণিতে পড়-য়া শারিরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নাটকীয়ভাবে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে ফাঁসিয়ে দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরের মিডিয়া রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহামুদুল হাসান বলেন, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাকিব মিয়া (২২) ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বদনিকাঠি এলাকার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে। গত ৫ মে ওই কিশোরী রাজাপুরের তার খালা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলো। সন্ধ্যায় রাজাপুর বাইপাস মোড় এলাকার অতিক্রমকালে কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে সাকিব কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে নির্যাতিতা কিশোরী অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ৬ মে রাজাপুর থানায় সাকিবকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করে কিশোরীর বাবা।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের শেখ মো. কাওসারের ছেলে রিফাত শেখ (২০) প্রতিবেশীর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়-য়া শারিরীক প্রতিবন্ধী মেয়েকে গত ১০মে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক রিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য আমজেদ খানকে ফাঁসাতে মঙ্গলবার রাতে নাটকীয়ভাবে এক বিধবা নারীকে দিয়ে ডেকে নিয়ে তার (বিধবা) ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। ঘটনাটি গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাকোকাঠি গ্রামের।