কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারি এলাকায় তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরনে গুরুত্বর দ্বগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্যাঙ্কারের শ্রমিক রুবেল হোসেন মারা গেছেন। এনিয়ে ওই ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, এমটি এবাদী-১ নামের তেলের ট্যাঙ্কারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের প্রথমদিন তিনজন নিহত হন। পরে তিনজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন-ট্যাঙ্কারের প্রধান চালক সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ট্যাঙ্কারের প্রধান চালক কুতুবউদ্দিন ভাসানী। তার সাথে ঘুরতে আসা একমাত্র ছেলে ফারদিন আরাফাত স্বাধীন (২২)। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাছি মিয়ার পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ছেলে ট্যাঙ্কারের শ্রমিক রুবেল হোসেন। ট্যাঙ্কারের গ্রিজারম্যান চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা বাবুল কান্তি দাস। চট্টগ্রাম সদরের বাসিন্দা শ্রমিক আবুল কাসেম ও কামাল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ মে বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর নগরীর চাঁদমারি এলাকায় নোঙর করে রাখা সাড়ে ১৩ লাখ লিটার জ¦ালানি তেলবাহী এমটি এবাদী-১ নামের ট্যাঙ্কারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছেন। ট্যাঙ্কারটি চট্টগ্রাম থেকে তেল নিয়ে বরিশালে আসে।