আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বিধি লঙ্ঘন করেছে মর্মে তথ্য উঠে এসেছে। যা প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার যোগ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে সাধারণ ক্ষমা করেছে। প্রথমবার হিসেবে গৌণ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৫নং বিধি অনুযায়ী কোনো মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। বিধিমালার ২২নং বিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেখানে গত ১১ মে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের ও সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু তাদের দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। যা বিধি লঙ্ঘন। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্তে উপনীত হয় সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৫ ও ২২ বিধির ব্যতয় ঘটেছে। একারণে ইকবাল হোসেন তাপসের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার যোগ্য। তবে নির্বাচন কমিশন নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে বিষয়টিকে বিধি লঙ্ঘনের প্রথম এবং গৌণ ঘটনা বিবেচনা করে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৩২ (২) নং বিধির দায় থেকে ইকবাল হোসেন তাপসকে অব্যাহতি দিয়ে আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।