খুলনার পাইকগাছায় লতার সেই ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বুধবার বিকালে লতা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সাংবাদিক কৃষ্ণ রায়, ইউপি সদস্য আলমগীর খলিফা, দেবাশীষ রায়, মীর ইব্রাহিম খলিল পরান ও আ.লীগ নেতা সোহরাব হালদার সহ বহু মানুষের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ মন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেন। সম্প্রতি উপজেলায় বহুল আলোচিত ঘটনা এক কিশোরীর সাথে চেয়ারম্যানের ৩ মিনিটি ১৭ সেকেন্ড অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ভিডিওটি দ্রুত সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপণে যান। উলেখ্য, গত ৩ এপ্রিল লতা ইউনিয়নবাসী উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ৪ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান কাজলকে বহিষ্কারসহ শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেন। ৭ এপ্রিল লতা ইউনিয়নবাসী পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সামনে ও ১২ এপ্রিল লতা ইউনিয়নে সচেতন জনগণ খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চেয়ারম্যানের বরখাস্ত সহ শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করে। ৩০ এপ্রিল লতা ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যানের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবীতে ইউনিয়নের গংগারকোনা তিন রাস্তা মোড়ে ঝাড়- মিছিল করে, যা ১২ মে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার বিকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে এ অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।