খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ প্রতারণা ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলার কপিলমুনি শাখার সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লি: এর সাধারন সম্পাদক শঙ্কর সাহা মামলা করেন। মামলা নাম্বার সিআর ২৩১/২০২৩, ধারা ৪০৬, ৪২০, ৫০৬(২)। মামলা সূত্রে, সমিতি হইতে আসামীর পিতা এক্ষণে মৃত নিতাই অধিকারী ১ আগস্ট ২০১৯ সালে চার লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। আসামীর পিতা তিন শত টাকার ৩ ফর্দ নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এক স্বীকারোক্তি ও অঙ্গীকারনামায় রবীন্দ্রনাথ ১নং স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন। অঙ্গীকারনামায় আসামীর পিতা অঙ্গীকার করেন কিস্তি খেলাপী হইলে সমিতি কর্তৃপক্ষ তাহার বাড়ি, দোকানের মালামাল, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া টাকা আদায় করিয়া লইতে পারিবেন। আরও অঙ্গীকার করেন তাহার অবর্তমানে/মৃত্যুান্তে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইলে তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র রবীন্দ্রনাথ অধিকারী ঋণের সকল দায়ভার একক ভাবে বহন করিবে বা ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকিবে। ইউপি সদস্য একই তারিখে দুই শত টাকার স্ট্যাম্পে স্বীকাররোক্তি ও অঙ্গিকারনামা সম্পাদন করিয়া অঙ্গীকার করেন, পিতার ঋণের সমুদয় দায়-দায়িত্ব জ্যেষ্ঠপুত্র হিসাবে আসামীর অর্পিত। পিতার অবর্তমানে/মৃত্যুান্তে অপরাগতায় ব্যর্থ হইলে আসামি একক ভাবে বহন করিতে/পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিলেন। যা সার্ভিস চার্জ সহ ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ২১ কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে সমিতি সাধারণ সম্পাদকের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করায় ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ সালে আসামি লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্ত হইলেও জবাব প্রদান করেনি। আসামি কপিলমুনি ইউপি ৪নং ওয়ার্ডে সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। মামলায় বাদী আসামীর ভয়ে সর্বদা ভতি সন্ত্রস্থ হইয়া পড়িয়াছে। সমিতি সাধারন সম্পাদক শঙÍর সাহা জানান, আজ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন টালবাহানা করছে।