রাজশাহী পুঠিয়ায় ড্রাফটিং কথিত সচিব আরিফুল ইসলাম কোটি কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্য,অবৈধ ভূমি দখল,অর্থ আত্মসাৎকারীসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকাণ্ডরাজশাহী মহাসড়কের উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনে,তার নিজ এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করেছে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মুকুল, পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝুন্টুসহ একাধিক ভুক্তভোগি পরিবারা। ভাইস চেয়ারম্যান মুকুল বলেন, আমরা পুঠিয়া বাসী আরিফের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছি। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সে জমি কিনেছে। শুধুমাত্র সরকারী কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য প্রতিটি দলিল করা হয়েছে, হয় হেবা কিংবা দানসত্ত্ব। পুঠিয়া পৌরসভার নারি কাউন্সিলার আইরিন পারভিন বলেন,পুঠিয়ার কোনো স্থানে জমি বিক্রি হলেই সেই জমি আরিফ বেশি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন। তার নিজ গ্রাম বারইপাড়া খাঁ পাড়া গ্রামের একাধিক এলাকাবাসীরা বলেন,আরিফুল ইসলাম আইন মন্ত্রনালয়ের একজন সহকারী সচিব (ড্রাফটিং) ক্ষমতা ও টাকার বড়াই দেখায়ে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন জনের উপর অত্যাচার বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে। তার জুলুম নিপিড়ন থেকে বাঁচার জন্য আজ আমরা বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করে,আইন সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দূর্নীতিবাজ এই সচিব আরিফ অর্থ লোভী,গত ২২/০৪/২৩ ইং তারিখ ঈদের দিন অযথা পুঠিয়া বাজারে আঃ মজিদের সাথে ঝগড়া করে ১,০০,০০০/- টাকা আদায়ের জন্য মজিদের ছেলে, ভাতিজার নামে তার লেবারকে বাদি করে মিথ্যা ছিনতাই মামলা করায়। আরিফুল ইসলাম তার আপন ফুপাতো বোন পপির নিকট থেকে তার ছেলেকে চাকুরীর নাম করে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চশ হাজার) টাকা ঘুষ গ্রহণ করে। তাকে চাকুরী দেয় নাই তার বোন সেই টাকা চাইতে গেলে সে টাকা ফেরত দেয় নাই। তারপর তার বোন টাকা না পেয়ে রাজশাহী কোর্টে টাকা আদায়ের জন্য মামলা করেন দূর্নীতি বাজ আরিফুল ইসলাম সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ডিড রাইটার লাইসেন্স করে দিবে বলে তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মোঃ আসিক এর নিকট থেকে ১,০০,০০০/-টাকা নিয়ে লাইসেন্স করে দেয় নাই। টাকাও ফেরত দেয় নাই। এই ভাবে সে পুঠিয়ার অনেক লোককে চাকুরি দিবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসাবে গ্রহন করে। ওই টাকা চাইতে গেলে পুলিশের ভয় দেখায় গত ১৮/০২/২৩ইং তারিখে তার ছোট ভাই মামুন আরিফের ক্ষমতাবলে মুক্তিযুদ্ধ কালিন সাবেক ছাত্র নেতা নুরশাদ আলীকে পুঠিয়া বাজারে অন্যায় ভাবে গায়ে হাত দিয়ে অপমান করে। এ বিষয়ে আরিফকে বললে সে আরো হুমকি দেয়। পুঠিয়া বাজার থেকে বারইপাড়া খা পাড়া যাওয়ার একমাত্র সরকারী রাস্তা, রাস্তাটি তার জমির পাসদিয়ে হওয়ায় সে দাবী করে এই রাস্তা তার জমির মধ্যে সে জন্য রাস্তার এক পার্শ্বে ছোট ছোট খেজুর গাছ যার কাঁটা কাটেনা কাউকে কাটতে দেয় না। আবার অন্য পাশ্বে কলা গাছ লাগাইছে সেখানে একটি সোলার ল্যাম্প দেওয়া আছে কিন্তু কলা গাছের পাতার জন্য কোন আলো রাস্তায় পাওয়া যায় না। জনাব আরিফুল ইসলাম নিজে সচিব দাবী করে গ্রামে কিছু অসামাজিক ১০-১২ জন লোক নিয়ে সমাজ গঠন করে মসজিদের ইমাম সাহেবের বেতন ও খাবার দেয় না। মসজিদের জমির মধ্যে জমি আছে বলে অযৌক্তিক দাবী করে মসজিদের উন্নয়ন কাজে জোর করে বাধা দেয়। এক জায়গাতে আরো তিনটি সমাজ আছে তাদের সাথে কোন প্রকার মিল রাখে না। পচন খাঁ তার ছোট বউকে মহরানা পরিশোধ বাবদ ৫কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করতে গেলে এই আরিফ প্রতারনা করে দুইটি দলিল করে পচন খাঁর কবর স্থান সহ ১৪কাঠা জমি নিজ নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয় পরে পচন খাঁ জানতে পারলে সে বলে পরে ন্যায্য মূল্য দিবো। কিন্তু কিছুদিন পরে ওই টাকা চাইতে গেলে সে অস্বীকার করে। এই শোকে পচন খাঁ হার্টফেল করে মারা যায়। গ্রামে বিলের মধ্যে আরিফ ৫কাঠা জমি ক্রয় করে ভেকু নিয়ে এসে ২০ফিট গভীর করে পুকুর খনন করে। এতে অন্যান্য চাষীদের ফসলে সেচ কাজ ব্যাহত হয়। কারণ পার্শ্ব জমি মালিক গন যাতে কম দামে তার কাছে জমি বিক্রয় করে। এলাকার আমরা গরিব মানুষ ফসল করার জন্য প্রয়োজনীয় সার পাই না অথচ আরিফ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুঠিয়া থানার বি সি আই সি সার ডিলারদের কাছে থেকে বস্তা বস্তা সার বাজার মূল্যে কিনে গুদাম ভর্তি করে, পরে চওড়াদামে বিক্রি করে। সময় মত কৃষক সার পায়না, এমনকি সে নাটোর নলডাঙ্গায় গিয়ে মিথ্যা কথা বলে যে আমার বাড়ি তকিয়া। ঐখানকার সার ডিলারের কাছে থেকে সার নেওয়ার সময় তার প্রতারনা ধরা খেয়েছিল। পরে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেখানকার ইউএনও সাহেবের কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে। গরিব মানুষ কিছু জমি টেন্ডার নিয়ে চাষাবাদ করে সে সহ্য করতে না পেরে বেশি টাকা আগাম দিয়ে ঐ জমি টেন্ডার নিয়ে নেয়, যাতে গরিব মানুষ গুলো আর নিতে না পারে। ২০২১ সালে পুঠিয়া এম এস বি ব্রিকস ভাঁটা থেকে ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে আজও পর্যন্ত ভাড়া দেয় নাই চাইতে গেলে হুমকি দেয়। বারইপাড়ার পাশ্ববর্তী গ্রাম বালাদিয়াড় গ্রামের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি ৫ (পাঁচ) বিঘা জমি টেন্ডার নিয়ে ফসল করত, এই আরিফুল ইসলাম জমির মালিকে আগাম বেশি টাকা দিয়ে তার ফসল থাকা অবস্থায় জোর করে জমি দখল করে। তারা বলতে গেলে পুলিশের ভয় দেখায়। আরিফুল ইসলাম কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামের দক্ষিন পাশের্^ মাসুমের জমি ২৩,০০০,০০/-(তেইশ লক্ষ) টাকায় ক্রয় করে ২০,০০০,০০/- টাকা (বিশ লক্ষ) টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রি করে নেয় বাকী ৩,০০০,০০/- (তিন লক্ষ) টাকা বাকী রেখে পরে দিবে বলে সময় নেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পর আরিফ ইসলাম আর টাকা দেয় নাই এবং তাকে হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে সহকারী সচিব আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। তারা তাদের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তোলা হয়েছে তা সঠিক না। আমাকে নাজহায়েল করার জন্য,একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে। আমি এলাকার সব অপরাধ গুলিকে প্রতিবাদ করে থাকি।