দুই মেয়েকে মারধর করে শ্লীলতাহানীর পর লুটপাটের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করে চরম বিপাকে পরেছেন বাদী। এবার আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনে মামলা উত্তোলনের জন্য বাদীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ তার দুই মেয়েকে অপহরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার উত্তর সাকোকাঠী গ্রামের।
রোববার দুপুরে মামলার বাদী ওই গ্রামের আবুল হোসেন সরদার অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমার নিজের রোপিত আম গাছ থেকে গত ১৩ মে আম পারতে যায় আমার মেয়ে সাজনিন আক্তার (২৪) ও তাজপিয়া আক্তার (২২)। এ সময় প্রতিবেশী ইউনুস হাওলাদার আম গাছ তার দাবি করে আম পারতে বাঁধা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় ইউনুসের নেতৃত্বে রোমান, রুহুল আমিন, রুবেলসহ তাদের অন্যান্য সহযোগিরা প্রকাশ্যে সাজনিন ও তাজপিয়া আক্তারকে মারধর করে শ্লীলতাহানী পর তাদের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আবুল হোসেন আরও বলেন, মারধরের পর স্থানীয় অচেতন অবস্থায় তার দুই মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। কিন্তু হামলাকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন। এ কারণে তিনি (আবুল হোসেন) বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী অসহায় আবুল হোসেন সরদার আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে দুই মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। সঠিক বিচার পেতে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বন্ধ করে রাখেন।