শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে খামারিরা পড়েছে বিপাকে। তাদের নিয়মিত লোকসান গুনতে গুনতে এখন খামার ছেড়ে দে’য়ার উপক্রম হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে ২০৪ টি এবং ৩৮টি লেয়ার খামার রয়েছে। বিভিন্ন হাটবাজারে ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজী ফিড কোম্পানির ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম৩ হাজার ৬’শ এবং লেয়ার ২হাজার ৯’শ ৫০ টাকা। গত বছর ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম ছিল প্রতি বস্তা ২ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা এবং লেয়ার ১ হাজার ৭ শ’ ৫০ টাকা। ৫০ কেজি লেয়ার মুরগির খাদ্যের দাম ছিল ১ হাজার ৭ শ’ ৫০ টাকা। বর্তমানে বাজার মূল্যে ৫০ কেজি ২ হাজার ৯ শ’ ৫০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে খামারিরা পড়ছেন বিপাকে। উপজেলার ঝিনাইগাতী ইউনিয়নের সাড়িকালিনগর গ্রামের জ¦ীম লেয়ার ফার্মের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার ২ খামারে ৮ হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। প্রায় ১৩ বছর আগে ১ ফার্মে ১৮’শ লেয়ার মুরগিতে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ডিম ও লেয়ার মুরগি বিক্রিতে ভালো লাভে ব্যবসা ধরে রাখেন। তার খামার থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে ডিম ও মুরগি বিক্রি করেন তিনি। লাভজনক হওয়ায় আরও এক খামার গড়ে তোলেন। ২খামারে ৮ হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৬ হাজার মুরগী ডিম দেয়। উৎপাদন হয় প্রতিদিন ৪ হাজার ৮’শ ডিম। ৮ হাজার মুরগির ২ হাজার মুরগি ডিম দে’য়ার পুরোপুরি উপযোগী হয়নি। জানা যায়, তার খামার থেকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা ডিম কিনে নিয়ে যান প্রতি ডিম ৯ টাকা ৩০ পয়সা দামে। ৪ হাজার ৮’শ ডিমের দাম আসে ৪৪ হাজার ৬ শ’ ৪০ টাকা। দৈনিক ২ খামারে ৫৬ হাজার ৫০ টাকা খাদ্যের প্রয়োজন। সে খামার গড়ে তোলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেশ কিছু পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খামারে শ্রমিক রয়েছে ৬ জন। প্রতিমাসে ২ খামারে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকার খাদ্য কিনতে হয়। তাছাড়া ওষুধ, শ্রমিক, বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ হয় ৯২ হাজার টাকা। সব মিলি প্রায় ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রতি মাসে খরচ হয়। এতে তার সব মিলে ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ফি-মাস লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে ব্যবসা ধরে রাখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।