কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জরিপে হেল্থ সিস্টেম পারফরেন্সে ৪২৫টি উপজেলার মধ্যে ১০ম স্থান পেয়েছে। চিকিৎসা ও সেবার মান ভালো হওয়ায় এ উপজেলার রোগীরা দূর দূরান্ত না গিয়ে সেবা নিতে ছুটে আসে এ হাসপাতালে। যানা যায় হাসপাতালটির সার্বিক পরিবর্তন এনেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন। তিনি যোগদানের পর থেকে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অবকাঠামোর সুন্দর্য্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলা উন্নতি ও সেবার মান অনেক পরিবর্তন করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয়। উপজেলার সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার চাহিদার প্রয়োজনে ২০১৮ সালে ৩১ শয্যা হাসপাতালটি ৫০ শয্যা হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এক সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রথম বারের মত অস্ত্রোপাচার কার্যক্রম চালু করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর শততম সিজারিয়ান অপারেশনে নবজাতকের জন্ম হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ডা. সিনথিয়া তাসমিন বলেন, বর্তমানে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলস্বরূপ সারা বাংলাদেশে ৪২৫টি উপজেলার মধ্যে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০ম স্থান অর্জন করেছে। এর আগে এর তালিকা ছিল ৩৭৩। ডা. সিনথিয়া আরও বলেন, এ সাফল্যের একমাত্র মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আফজাল হোসেন ও কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম এর প্রতি কৃজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকল চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স, এম.টি, ল্যাব, ডেন্টাল, রেডিও, অফিস স্টাফ, স্যাকমো, সকল স্বাস্থ্য কর্মী, সিএইচসিপি সহ সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাধারণত গ্রামের অভাবী ও গরিব মানুষেরা বেশি আসে। তার চিকিৎসকরা এসব মানুষের সঠিক সেবা দিয়ে আসছে। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা এসে বর্হিবিভাগে ৫ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চিকিৎসকদের কাছে সেবা নিচ্ছেন। উল্লেখ্য ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক, ৪৪ জন সেবিকা, ৮ জন মিডওয়াইফ নিয়ে রোগীদের নিয়মিত সেবা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ জন সিএইচসিপি ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে ৪টি। জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ৬ শত থেকে ৭ শত রোগী সেবা নিতে আসেন। কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই প্রতিদিন জরুরী বিভাগে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী সেবা নিচ্ছে। ৮০ থেকে ৯০ জন ডায়াবেটিক ও উচ্চরক্তচাপের রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।