তেঁতুলিয়ায় সাড়ে চার বছরের এক সন্তানসহ নিখোঁজ গৃহিনীকে নিয়ে পালিয়েছে পরক্রিয়া প্রেমিক রাসেল রানা। জানা যায় নির্জনার পিতা সাঈদুর রহমান ঘটনার পরের দিন জামাই আবু তাহেরকে বলেন, গত ১১ মে/২০২৩ ইং বিকাল অনুমান ৪ টার সময় ০১৮৮৯-৩১৮৯৮৫ নাম্বারে রাসেল রানা নামে একজন তাকে হুমকী দেয় ‘‘তোমার মেয়েকে না দিলে তোমার চোখ তুলে নিয়ে মারব’’ বলে। পরবর্তীতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই ফোন নাম্বার ট্রাকিং করে জানতে পারেন নির্জনা নিখোঁজ হওয়ার দিন গত ১৫ মে/২০২৩ ইং সন্ধ্যা ১৯:৫৪.৪৪ টায় রাসেল রানা উল্লিখিত নাম্বারে তার মেয়ে নির্জনার যোগাযোগ করেছে। যার শেষ অবস্থান ছিল মিঠাপুকুর, ধাক্কামারা, বোদা পঞ্চগড় নামক স্থানে। কিন্তু মেয়ের সংসার টিকবেনা বলেই সাইদুর রহমান ওই হুমকীর কথা জামাই আবু তাহেরকে আগে বলেনি।
এদিকে ঘটনার পর দ্বিতীয় দিনে নির্জনা ও মোঃ রাসেল রানা (ঘরৎ ঔড় ঘধ রং রিঃয গফ জধংবষ জধহধ) যৌথ এই ফেসবুক আইডিতে চার লাইনে লিখেছে ‘‘ আমি আমার বৈবাহিক জীবন নিয়ে সুখী, কারো কোন মন্তব্য চাচ্ছি না, আমাকে কেউ কিডন্যাপ করে নাই, আমি নিজের ইচ্ছায় আসছি।’’ এ ছাড়া দদতধযধহমরৎ অষধস’ নামে এক ফেসবুক আইডিতে ‘প্রেমের আত্মদান’ দুই পর্বের লিখায় প্রথম পর্বে মোছাঃ সুরাইয়া আক্তার নির্জনার প্রেমিক রাসেল মিয়া, গ্রাম- নতুন বস্তি ঃ শালবাহান,তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় প্রেমিকের ঠিকানা উল্লেখ করে তাদের দীর্ঘদিনের প্রেম কাহিনি সহ পোস্টে আরও অনেক তথ্যাদিক লিখা হয়েছে।’’ স্বামী আবু তাহের সুরাইয়া আক্তার নির্জনা নিখোঁজে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় গত ১৬ মে/২০২৩ ইং একটি ডায়েরীভুক্ত করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন তথ্যাদিই ভাইরাল হয়েছে।
আবু তাহের এ প্রতিবেদকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব পোস্ট স্কিনশর্ট আকারে থানা পুলিশের কাছে প্রদান করা হয়েছে। রাসেল রানা শালবাহান ইউনিয়নের নতুনবস্তি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। আমার আদরের সাড়ে ৪ বছরের সন্তান মোঃ সাখাওয়াত সাদি নিয়াজকে ফিরে পাওয়ার জন্য রাসেল রানা সহ আরও অজ্ঞাত ক’জন আসামি করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছি। তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ যাবতীয় তথ্যাদি ও অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু নিয়াজকে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় চেষ্টা করছেন বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ তারিখ/২০২৩ দিবাগত রাতে তার পিতাসহ তেঁতুলিয়া স্বামীর বাড়িতে আসে। পিতা সাইদুর রহমান গত ১৪ তারিখ জয়পুর হাট পাঁচবিবি ফিরে যান। এ সময় পিতার সংগে নির্জনা যেতে চাইলে স্বামী আবু তাহের আগামী শুক্রবারে যেতে বলেন। কিন্তু গত সোমবার (১৫ মে/২০২৩) সন্ধ্যা অনুমান পনে ৭ টার সময় পূর্বের ন্যায় বাড়ির সদস্যদের তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারে যাবার কথা বের হন। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটিও বন্ধ পান। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পরও কোঁথাও না পেয়ে রাত অনুমান ১১ টায় গিয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।