খুলনার পাইকগাছায় চাঁদখালী ইউনিয়নে দরিদ্র মো. হাসান গাজীকে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতন করে জখম সহ বাম হাত তিন অংশে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। মারাতœক আহত হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে নির্মম নির্যাতনের শিকারের পিতা মো. মঈনুদ্দীন গাজীর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন। উপজেলার চাঁদখালী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৮ মে মৃত মেছের আলী গাজীর ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন, মৃত নজরুল সরদারের ছেলে মো. হুমায়ন সরদার ও মো. আবদুল কাদের পাশে উপজেলার আশাশুনি বড়দল নদীর চরভরাটি জমিতে অবৈধ একেএস ইটভাটার ভিতরে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে হাসান গাজীকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্যাতনের এক পর্যায় দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। হাসানের বৃদ্ধ পিতা জানতে পেরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখেন হাসানের বাম হাতের হাড় তিন অংশে ভেঙ্গে গিয়েছে। সাংবাদিকরা হাসপাতালে গেলে বিছানায় যন্ত্রনায় কাতর হাসানের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। এ ছাড়া তার শীরায় আঘাত করায় ভবিষ্যতে পঙ্গুত্বের আশঙ্কা করছে আহতের পরিবার। এমনকি অত্যাচারীরা বিভিন্ন মাধ্যমে জীবন নাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে জানায় হাসানের পিতা। ইটভাটা মালিকের ছোট ভাই মো. হুমায়ন সরদার বলেন, ভাটার ভিতর গ্যানজাম করছিলো তাই তার শ্রমিকরা লোহার রড দিয়ে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। হাসানের সহদর ভাই মো. আবু তালেব বলেন, তাৎক্ষণিক ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করা হয়েছে। ভাই এর শীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত সহ বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মো. আবু ইলিয়াস বলেন, এ-সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয়কে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করবো।