স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক মামলা চলমান রয়েছে। তারপরেও স্ত্রী ও সন্তানকে মেনে নেওয়ার দাবীতে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান শুরু করেছে স্ত্রী। তবে শেষপর্যন্ত স্বামীর মন গলাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাবার বাড়ীতে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামে।
বুধবার সকালে উপজেলার মাগুরা গ্রামের ছবদের হাওলাদারের মেয়ে নাজনিন আক্তার বলেন, ২০১১ সালে তাঁরাকুপি গ্রামের দেলোয়ার বেপারীর ছেলে রিয়াজ বেপারীর সাথে আমার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর স্বামী রিয়াজের দাবী অনুযায়ী আমার বাবা দশ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। বিদেশ যাওয়ার পর আমার উপর স্বামীর মানসিক ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিক নির্যাতন শুরু করে।
নাজনিন আরও বলেন, রিয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার বাবার কাছে আরও টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় রিয়াজের নির্দেশে তার পরিবারের সদস্যরা অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এরইমধ্যে আমার (নাজনিন) মা গুরুত্বর অসুস্থ হওয়ায় আমি বাবার বাড়িতে যাই। এরপর আমার শশুর আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে লোকমুখে জানতে পারি আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু অদ্যবর্ধি আমি কোন তালাকের নোটিশ পাইনি। উপায়ন্তুর না পেয়ে আমি বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার স্বামী বাড়িতে অবস্থান করছেন। সে এখনো বিয়ে করেনি। আমিও বাবার বাড়িতেই থাকি। আমাদের একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে আমি একাধিকবার শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতে চেয়েছি। সর্বশেষ মঙ্গলবার দিনভর স্বামীর বসতঘরের সামনে অবস্থান করে আমাকে মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেও ব্যর্থ হয়েছি।
তবে স্ত্রীর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী রিয়াজ বেপারী বলেন, সে (নাজনিন) আমাদের বাড়ি থেকে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার পর তাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য কমপক্ষে শতবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে আসেনি। এই চার বছর সে কোথায় ছিলো তাও আমার জানা নেই। এজন্য তাকে তালাক দিয়েছি। তাকে তালাক দেওয়ায় আইনতভাবে সে এখন আর আমার স্ত্রী নয়।