মৃত্যুর ৫২ বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চৌয়ারীপাড়া গ্রামের শহীদ কাজী মতিউর রহমান। দীর্ঘদিন পরে হলেও এতে ব্যাপক খুশি হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগি মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ কাজী মতিউর রহমানের স্বজন কাজী মিরাজ মাহমুদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যার ৭ ক্রমিকের গেজেটে ৩৬৩৮ নম্বরে শহীদ কাজী মতিউর রহমানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, মরহুম কাজী মোশাররফ হোসেনের ছেলে কাজী মতিউর রহমান দেশ বিজয়ের মাত্র ২০ দিন পূর্বে শত্রুদের বুলেটে শহীদ হন। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার ছারছিনায় আলবদরদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালাতে গিয়ে শত্রুদের ছোঁড়া বুলেটে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। বরিশালের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, একজন দুঃসাহসিক যোদ্ধা ছিলেন কাজী মতিউর রহমান। আমরা তাকে মতি কাজী বলে ডাকতাম। তিনি তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন এবং চাখারে একে ফজলুল হক কলেজের ভিপি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পথে তিনি ছারছীনায় রাজাকারের গুলিতে শহীদ হন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় যুক্ত হয়। এই বিলম্ব বড়ই লজ্জার। এভাবেই অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত রয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএম মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতীক বলেন, কাজী মতিউর রহমান মুক্তিবাহিনী গঠনের আগেই মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ছাত্রনেতা ছিলেন ও বঙ্গবন্ধুর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অদ্যবর্ধি তার লাশ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।