সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের সাথে ব্যতিক্রমধর্মী শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বরিশাল সিটির নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মীনি লুনা আব্দুল্লাহ।
তাকে অনুসরন করে ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্ধী মেয়র প্রার্থীর স্ত্রী মাঠে নামলেও তেমন কোন সারা তুলতে পারেননি। নগরবাসীর দাবি, রাজনীতিতে প্রথম আগমন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে বরিশালবাসীর কাছে ব্যাপক পরিচিতি করতে দিনরাত কখনও প্রখর রোদ, কখনও ঝড় ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নারী নেত্রীদের নিয়ে নগরীর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুঁটে চলছেন লুনা আব্দুল্লাহ। ইতোমধ্যে তিনি (লুনা) নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার সকল বয়সের ভোটার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
প্রতিদিনের রুটিন হিসেবে তিনি স্বামী খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে নগরীর ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন লুনা আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি জানতে পারেন কাউনিয়া এলাকায় রয়েছে একটি বৃদ্ধাশ্রম। অমনি তিনি ছুঁটে যান ওই বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানে তিনি (লুনা) দীর্ঘসময় কাটিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের সাথে। এ সময় তিনি অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন।
লুনা আব্দুল্লাহ বলেন, এখানে যারা বসবাস করেন একদিন তারাও ছিলেন আর দশজন সাধারণ মানুষের মতোই। ছিলো সাজানো গোছানো সংসার। আজ তারাই নিঃসঙ্গ, নিঃসন্তান। যে বয়সে ছেলে-মেয়ের সংসারে নাতি-নাতনীদের সাথে খেলা করে সময় পার করার কথা, সেই বয়সে এসে এসব বৃদ্ধরা তাদের সন্তানদের কাছে বোঝা হয়ে আত্মীয় পরিজন হারা হয়েছেন। এমনই অসহায় বয়স্ক নারী ও পুরুষদের জন্য কাউনিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে সাখাওয়াত নামের একজনের পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রমটি পরিদর্শন করে সত্যি চোখে জল এনেছে। তিনি আরও বলেন, এখানে যারা আছেন তাদের সবাই অসহায়। পুত্রবধূ ও নাতনীরা নির্যাতনের পর তাদের ফেলে রেখে যায় রাস্তায়। তাদের সবার স্থান হয়েছে ওই বৃদ্ধাশ্রমে। লুনা আব্দুল্লাহ বলেন, মন চেয়েছিলো এখনই ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিতদের জন্য কিছু করার। কিন্তু নির্বাচন সামনে তাই বাধ্যবাধকতা থাকায় মন থাকলেও কিছুই করতে পারিনি। তবে নির্বাচনের পর অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিত্বে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য ভাল কিছু করবো। কোন বাবা-মাকে যেন আর বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে না হয়, সেজন্য তিনি (লুনা) প্রত্যেক সন্তানদের প্রতি জোর অনুরোধ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ওই বৃদ্ধাশ্রমটি। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মিণী লুনা আব্দুল্লাহ বৃদ্ধাশ্রমটি পরিদর্শনের পর জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসের সহধর্মিনী ইসমত আরা ইকবালও বৃদ্ধাশ্রমটি পরিদর্শন করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নৌকার মেয়র প্রার্থীর স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহ যে এত আন্তরিক তা জানা ছিলোনা। তিনি একজন সত্যিকারের মায়ের মতো বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিতদের বুকে জড়িয়ে নিয়ে তাদের দুর্শদার কথা শুনেছেন। এ সময় অশ্রুসজল নয়নে তিনি সকল আশ্রিতদের জন্য ভাল কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে আশ্রিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও তার (লুনা) মনের আশাপূরণের জন্য দুইহাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছেন। বৃদ্ধাশ্রমের অন্যান্য কর্মীরা জানিয়েছেন, শুধু মেয়র প্রার্থীর সমর্থকই নয়; ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও এখন নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে, খুব শীঘ্রই হয়তো আশ্রিতদের সেবার জন্য নিজস্ব জমিসহ একটি ভবন হবে।
সূত্রমতে, ২০১৫ সালে সাখাওয়াত হোসেন নামের এক যুবক তার বাবা ও মায়ের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রথম বরিশালের বাকেরগঞ্জে এই বৃদ্ধাশ্রমটির যাত্রা শুরু করেন। ২০১৭ সালে সরকার এটিকে অনুমোদন দিলেও ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে কিছুটা সরকারি সহযোগিতা পাওয়া শুরু হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০২০ সালে বাকেরগঞ্জ থেকে স্থানান্তর করে নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার একটি দ্বিতল ভবনের নীচতলার দুটি ইউনিট ভাড়া নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমটি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা আমার কাছেই থাকেন। বাবা এখানে থাকেন বলেই অন্য আশ্রিতদের প্রতি আমার ভালোবাসা বাবা-মায়ের মতোই তৈরি হয়েছে। তবে সমস্যা একটাই আমার চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে আশ্রিত ৪৫ জন বাবা ও মাকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমটি চালাতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে। আরো ২০-২৫ জন বাবা-মা এখানে আসতে চান। কিন্তু আমরা আর কাউকেই জায়গা দিতে পারছিনা বলে তাদের আনতে পারিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে সাখাওয়াত বলেন, বর্তমান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কখনোই তাদের কোনো খোঁজতো নেয়নি বরং তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও কয়েক বার ব্যর্থ হয়েছি।
সামান্য বৃষ্টিতে অচল নগরী ॥ সামান্য পাঁচ মিনিটের বৃষ্টিতেই নগরীর রূপ বদলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বছরের পর বছর ধরে নগরীর বাসিন্দারা কষ্টভোগ করছেন। এরসাথে সড়কের দুর্ঘটনাতো রয়েছেই। রাস্তাঘাটের কথা আর নাই বললাম। এসবের মূল কারণ দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্য। নগরবাসী আমার পাশে থাকলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কোন সিন্ডিকেট থাকবেনা, কমিশন বাণিজ্য ও দুর্নীতি থাকবেনা। দখলের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী বাজার ও শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে কথাগুলো বলেছেন, সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস।
উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা উপহার দেবো ॥ চরমোনাই পীরের ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, নগরীতে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে নাগরিকদের জন্য চরম দুর্ভোগ ডেকে আনে। এসব জলাবদ্ধতার কারণে শিশুসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের মাঝে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা হাতপাখার ওপর আস্থা রাখুন, আমরা বরিশাল নগরবাসীকে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা উপহার দিয়ে চিরতরে জলাবদ্ধতা দূর করবো। নগরীর ভাটিখানা এলাকায় নাগরিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফয়জুল করীম বলেন, বরিশাল নগরী একেবারেই নতুন কোনো নগরী নয়। সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর থেকে বেশ কয়েকজন এ নগরীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা জনগণের প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করবোনা। নগরবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করে শতভাগ বাস্তবায়ন করবো।
আপিলে টিকলেন ছয় প্রার্থী ॥ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে আপিল করে ছয়জনে প্রাথীতা ফিরে পেয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বিসিসি নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিডিয়া সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামান জানান, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্না হাওলাদার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেদী হাসান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম, সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিনা বেগম ও সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবিহা সুলতানা’র আপিল মঞ্জুর করায় তারা প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।
৩৫ জনের বিরুদ্ধে ৪৭ মামলা ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করা ১৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ৪৭টি মামলা চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ফৌজদারি মামলা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত রয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। হলফনামার হিসেব মতে, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীর মধ্যে ৯৮ জন বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জাড়িত রয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচজন পেশায় আইনজীবী। অপর প্রার্থীদের মধ্যে বেসরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, কৃষি ও মৎস্য খামারি, কৃষিজীবী, বাড়ি ও দোকানঘরের মালিক, সাংবাদিক, দলিল লেখক, প্রবাসী, ইলেকট্রিশিয়ান ও ইমারত শ্রমিক হিসেবে তাদের পেশার কথা উল্লেখ করেছেন।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, বৈধ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে এবং চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০টি আসনে ৪০ জন নারী প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মাঠে টিকে রয়েছেন। যেখানে ৩০ জন প্রার্থীই পেশায় গৃহিনী। পাশাপাশি কয়েকজনে নিজেকে সমাজসেবক, প্রাইভেট টিউটর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও হস্তশিল্পীর কাজ করেন বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি দুটি মামলা চলমান রয়েছে।
১১৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ॥ আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১১৫টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এর মধ্যে ৮৮টি কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১২৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৫টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৮৮টি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ২৭টি। বাকি ১১টি কেন্দ্রে ঝুঁকি নেই। কেন্দ্র ও প্রার্থীদের অবস্থান, তৎপরতাসহ সার্বিক দিক অনুসন্ধান করে এ তালিকা করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য না দিলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ জুন সিটি করপোরেশনে সংঘাতমুক্ত নির্বাচন সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দুইদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরের দুইদিনসহ মোট পাঁচদিনের জন্য প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে ক্ষমতা দিয়ে তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় যানবাহন ও পুলিশ প্রদানের জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ১০ জন ম্যাজিষ্ট্রেটের মধ্যে সাতজন বরিশাল আদালতের, দুইজন ভোলা ও একজন ঝালকাঠি আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট। রিটানির্ং কর্মকর্তারা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একেকজন ম্যাজিষ্ট্রেট ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে থেকে নগরীর তিনটি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন।