নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে কর্মরত নৈশ্য প্রহরী দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ মিলেছে। এছাড়াও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারী কোয়ার্টার দখল ও তাড়ায় দিয়ে অর্থ লোপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। ২৬ মে সকালে তিনি বেশ কয়েকটি ইউক্যালিপটাস, পেয়ারা এবং সজনে গাছ কেটে ফেলেন। অথচ তিনি ওই গাছ গুলো রোপন করেননি। সরকারী জায়গা ফাঁকা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এলাকার সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি বায়েজিদ আহমেদ সেখানে কয়েকটি গাছ রোপন করেন। বর্তমানে গাছগুলি বেশ বড় হয়েছে। হঠাৎ করে ওই জায়গায় একটি সরকারী রেল কোয়ার্টার দখল করেন নৈশ্য প্রহরী দুলাল হোসেন। তিনি কোয়ার্টার দখলের পর তার আশপাশের গাছগুলো কাটা শুরু করেন। বিষয়টি দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী আউওডব্লিউ শরিফুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। তাছাড়া কোন জীবন্ত গাছ কাটতে গেলে বনবিভাগের অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রেও তা লঙ্ঘণ করা হয়।
গাছ কাটা এবং কোয়াটার দখলের ব্যাপারে দুলাল হোসেনকে ফোন দেয়া হলে ফোন না ধরে তা বন্ধ করে দেন। এলাকার লোকজন জানায়,ওই দুলাল হোসেন একজন অর্থলোভী নৈশ্য প্রহরী। তিনি রেলওয়ের একটি বাসা বরাদ্দ নেন। আর দখল করে আছেন রেলওয়ের তিনটি কোয়ার্টার। এরমধ্যে ভাড়ায় দিয়ে মাসে মাসে টাকা তুলে তা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রায় বছর খানেক পুর্বে নানা অনিয়ের কারণে তাকে অফিসিয়াল নোটিশ করা হয়। বললিও করা হয়েছিল অন্যত্র কিন্তু দেখা যায় এখানেই আবার বহাল।