বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে জনগণ বা বিএনপি যাবে না। অবৈধ সরকার পদত্যাগের পর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সরকার যতক্ষণ পদত্যাগ না করবে, ততক্ষণ রাস্তায় বিএনপির আন্দোলন চলতে থাকবে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের গোডাউন রোডের বশির ভিলায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়। শুক্রবার দুপুর জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীরা জনসমাবেশে যোগ দিতে বাসযোগে শহরে আসেন। পরে তাঁরা খ- খ- মিছিল নিয়ে জনসমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। দুপুরের পরপরই সমাবেশস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু আরও বলেছেন, আন্দোলন হচ্ছে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোট চুরি করে বারবার ক্ষমতা দখল করে। ভোট চুরির সঙ্গে যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁরা কেউ রেহাই পাবেন না। প্রত্যেকের রেকর্ড সবার কাছে আছে। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন বর্তমানে দেশ এক কঠিন সময় পার করছে। গনতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ ফ্যসিষ্ট সরকার কে হঠাতে হবে। আর এ জন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের কঠিন আন্দোলনে নামতে হবে। প্রয়োজনে নেতাকর্মীদের জীবন দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গুম খুন ভোটাধিকার, মানবাধিকার সহ মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনী, প্রশাসনের কিছু দুষ্টচক্র ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মিলে দেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এজন্য আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য নুতন ভিসা নীতি চালু করেছে, যা আমাদের জন্য দুঃখজনক। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। আমরা কি এজন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি? জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আবুল খায়ের ভূঁইয়া, এবিএম আশ্রাফ উদ্দিন নিজান, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, ডঃ মামুন আহমেদ,এল ডি পির মহাসচিব সাহাদৎ হোসেন সেলিম, বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ ভিপি ও শাহাবুদ্দিন সাবু। এদিকে বিএনপির জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ উত্তর তেহমুনী ও দক্ষিণ তেহমুনীসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।