চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার( ভূমি) আবু রায়হান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাসেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তার বেগম, নাঙ্গলমোড়া ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে হারুনুর রশিদ, মুজিবুর রহমান, মোঃ জায়নুল আবেদীন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম, ডেপুটি কমান্ডার হোসেন মাস্টার, ইসমাইল মুহুরী, জহুরুল আলম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব ধরনের কর্তৃত্ববাদ ও সাম্রাজ্যবাদ পরিহার করে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেন। আর বিশ্বমানবতায় অসামান্য অবদান রাখার কারণে বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের এ পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পদক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত হন। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যারি জুলি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতি বিশ্বশান্তির সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন, তা স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে কর্তৃত্ববাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে ও শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষিত হয়।