সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদরের পূবর্-গাড়াখোলা মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ইমান আলী মোল্যা(৭) নামক এক শিক্ষার্থীকে ওই মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের শিক্ষক গলা টিপে হত্যা করে পালানোর সময় মধুখালী থানা পুলিশ আটক করেছে। নিহত শিক্ষার্থী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দি গ্রামের হৃদয় মোল্যা ছেলে। ঘাতক শিক্ষকের নাম হেদায়েতুল্লাহ (২২)। সে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার পিরের চর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে। ঘাতক শিক্ষক হেমায়েতুল্লাহ দুই সপ্তাহ আগে এই মাদ্রাসায় অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগদান করেছেন। পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ফরিদপুরে প্রেরন করা হয়েছে।
জানা যায়, রাতে শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ এক ছাত্রদের সাথে অশ্লীল আচারণ নিহত ছাত্র দেখে ফেললে তাকে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ঘাতক শিক্ষক ভয়ে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার কোন একসময় ছাত্র ইমান আলীকে গলা টিপে হত্যা করে মাদ্রাসা থেকে হোসাইন (১২) নামক অন্য এক ছাত্রকে সাথে করে পালিয়ে যায়। ইতেমধ্যে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে মৃত ছাত্রকে দেখে অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা থানায় ফোন করে খবর দিলে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম তাৎখনিকভাবে ফোর্সসহ উপজেলা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি বাসস্টান্ড হতে ঘাতক শিক্ষককে সঙ্গীয় ছাত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা সামসুল হক জানান মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই ঘাতক শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাকে সাবধান করে বলা হয়েছে ছাত্রদের সাথে কোনরুপ খারাপ আচরণ না করার জন্য।
মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন খবর পেয়ে আমি ওই শিক্ষককে উপজেলার মাঝকান্দি থেকে আটক করেছি। লাশের ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।