বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। গাজীপুরে দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে বরিশাল সিটিতে জয়লাভের আশায় ঐক্যের বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র গঠিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সমন্বয়ক টিম। নগরীতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতৃবৃন্দরা।
ইতোমধ্যে ৩০ মে বরিশাল নগরীতে যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার পক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় টিমের সমন্ময়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আমরা জানি, নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে হারিনি, আমরা হেরেছি নিজ দলের বিশ্বাস ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের কাছে। তিনি আরও বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে কোন বিশ্বাস ঘাতক থেকে থাকলে এবার আর তাদের ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবেনা। ভোটের আগেই সবকিছু গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের শতভাগ বিজয় নিশ্চিত করার ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা গাজীপুর থেকে সতর্ক হয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন করে, নতুন উদ্যোমে নির্বাচনী কৌশল পাল্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাবো। মানুষের কাছে গিয়ে আমরা ভোট ভিক্ষা করবো।
বরিশাল আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ নেই উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আমরা ঘরে-বাহিরে এক ও অভিন্ন আছি, আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। বরিশালের সকল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন। তারপরেও আমাদের আল্লাহ ও নবীজির নামে শপথ নিতে হবে বিশ্বাস ঘাতকদের বিপক্ষে আমরা সবসময় স্বোচ্চার থাকবো, ঐক্যবদ্ধ থাকবো। যেকোনো মূল্যে বিশ্বাস ঘাতকদের দাঁতভাঙা জবাব আমরা বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের মধ্যদিয়ে দিতে চাই।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ দুটিভাগে বিভক্ত হয়ে কোন্দলে নাজুক অবস্থানে রয়েছেন বরিশালের নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। এ অবস্থা কাটিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের বিজয় নিশ্চিত করতে গত ২৬ মে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা গৌরনদীতে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় টিমের আয়োজনে দ্বিতীয় বর্ধিত সভায় বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা থাকলেও বাজেটের কারণে তা পিছিয়ে ৩ জুন তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। এরইমধ্যে সকল কোন্দল ভুলে নেতাকর্মীদের একত্র করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থীর ভাগ্নে শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তার উদ্যোগে অনেকটা কোন্দল দূর হয়েছে দাবি করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, শেখ ফজলে শামস্ পরশের আগমনের মধ্যদিয়ে বরিশাল নগরীতে পরিবর্তন এসেছে। নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে, নৌকার সমর্থকদের মধ্যে নতুন গতিসঞ্চার হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে নির্বাচনী মাঠে নৌকার পক্ষে গনসংযোগ করতে দেখা গেছে এতোদিন মাঠে না নামা মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী নেতাকর্মীকে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বরিশালের নির্বাচনে তাদের বড় প্রতিদ্বন্ধী হতে পারেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তার হাতপাখা মার্কার পক্ষে শুরু থেকে প্রচারে মাঠে নেমেছেন ২১শ’ নারী কর্মী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে চায় না আওয়ামী লীগও।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেন, আমাদের প্রার্থীর জয়লাভের ক্ষেত্রে আমরা সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবো। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ভিক্ষা চেয়ে গণসংযোগ শুরু করেছেন। পাশাপাশি নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মীনি লুনা আব্দুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদারের নেতৃত্বে নারীদের একাধিক টিম দীর্ঘদিন থেকে নগরীতে গণসংযোগ করে আসছেন।
ধর্মকে পুঁজি করে প্রতারণা করা হচ্ছে ॥ ধর্মকে পুঁজি করে অনেক প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নাগরবাসীর সাথে প্রতারণা শুরু করেছে। এসব কাজ আমাদের শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনোই শিক্ষা দেয়নি। সচেতন নগরবাসী ওইসব প্রার্থীর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। জনগণ আর প্রতারণার শিকার হতে চায় না। বুধবার বেলা এগারোটার ইমাম সমাবেশে প্রধানঅতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেছেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করা হলে জনগণ আর প্রতারণার শিকার হবেনা। নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য আমার দরজা সব সময় সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উন্নয়নবঞ্চিত বরিশালের সার্বিক উন্নয়ন করা হবে। নৌকার প্রার্থী বলেন, নগর ভবনের অব্যবস্থাপনায় নাগরিকরা সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছেন। এতোদিন সেই দুর্ভোগের কথা কারও কাছে বলতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরবাসীর কথা শোনার জন্য এবং তাদের ভাগ্যোন্নয়নে আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়ে বরিশালে পাঠিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশন হবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত। করপোরেশনের কোন কর্মকর্তাকে সাধারণ নগরবাসীর আজ স্যার বলতে হবেনা, উল্টো কর্মকর্তারা সেবাগ্রহীতাদের স্যার বলবেন। খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আমার জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি জীবনের শেষসময় পর্যন্ত নগরবাসীর সেবা করতে চাই। আসুন সবাই মিলে নতুন বরিশাল গড়ে তুলি। একইদিন সকালে নৌকার প্রার্থী নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কড়াপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করীমসহ বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বুধবার বিকেল চারটায় নৌকার প্রার্থী ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিজিরা বাজার ও সন্ধ্যা সাতটার দিকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৈতন্য স্কুল মাঠে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধানঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
পাঁচ বছরে তারা কোন উন্নয়ন করেনি ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জনসাধারণের প্রশ্ন-হতাশা এখনো কেটে ওঠেনি। এই কারণে আমরা শংকিত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। আরেকটি কারণ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন এখনও পুরোপুরি নিরপেক্ষ নয়। তাদের একচোখা আচরণ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কয়েকটি সংস্থা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে দেনদরবার করছে, ক্যাম্পেইন করছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বাকলার মোড় ও বাজার রোড এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। তাপস ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত পাঁচ বছরে যারা উন্নয়ন করেনি তাদেরকে আপনারা ভোট দিবেন না। কারণ গত পাঁচ বছর যিনি ক্ষমতায় আছেন তিনি বরিশালের উন্নয়ন করেননি। এখন তার পরিবারের মানুষ আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে গণসংযোগ করছেন। অথচ আগামী পাঁচ বছর এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে কিনা তারই ঠিক নেই। এ সময় মহানগর জাতীয় পার্টির মহানগর আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাতপাখার ২১শ’ নারী কর্মী মাঠে ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন ২১শ’ নারী কর্মী। সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ৭০ জন করে দলভূক্ত হয়ে একযোগে তারা প্রচারণা শুরু করেছেন। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনায় গণমাধ্যম সমন্বয় কমিটির সদস্য কেএম শরিয়তউল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মপরিকল্পনা করে আরও বেশি নারী কর্মীদের প্রচারণায় যুক্ত করা হবে। হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের পক্ষে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন নারীরা। তারা হাতপাখায় ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন। হাতপাখায় ভোট চাইতে আসা নারীদের এক টিম লিডার বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলামি হুকুম কায়েম করা। চরমোনাই দরবারের নায়েবে আমীর হাতপাখার প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশালের খেদমত করার সুযোগ চান। তিনি বলেছেন, আমি মেয়র হতে চাই না, আমি বরিশালবাসীর খাদেম হতে চাই। টিম লিডার ওই নারী আরও বলেন, প্রার্থীর প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমরা প্রচার-প্রচারণায় নেমেছি। তার (প্রার্থী) কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সার বিনিময়ে মাঠে নামিনি। মন থেকে আমরা তাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাচ্ছি। অপরদিকে বুধবার দুপুরে নগরীর জেলখানা মোড় এবং সদর রোড এলাকায় গণসংযোগকালে হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, গণসংযোগে মানুষ যেভাবে আমাকে আশ্বস্ত করছে তাতে আমার মনে হচ্ছে মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবো। নির্বাচন কমিশনের বিগত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনগুলোর কারণে আমরা ফলাফল হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত নই। কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি কিংবা কে জাতীয় পার্টি সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, বরিশালের সকল ভোটারই আমার দাওয়াতের আওতাভূক্ত। আমি সবার কাছেই হাতপাখার দাওয়াত নিয়ে হাজির হবো এবং নগরবাসীকে ভোটেরদিন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে হাতপাখায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করবো। হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, বরিশাল সিটিতে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য বিশেষায়িত কোন ব্যবস্থা নেই। নামমাত্র কাউনিয়া বাশেরহাট এলাকায় রয়েছে ২০ শয্যার একটি নগর মাতৃসদন হাসপাতাল এবং রূপাতলী হাউজিং, আলেকান্দা জমির খান সড়ক, কাউনিয়া প্রধান সড়কের পানির ট্যাংকের পাশে ও আমানতগঞ্জ পলাশপুরের বউবাজার এলাকায় রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। কিন্তু এই সেবাকেন্দ্রগুলো অব্যবস্থাপনার কারণে বন্ধ হয়ে আছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে, নগরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চত করতে-বিদ্যমান হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে উন্নত ও আন্তরিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। একইদিন বিকেলে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, নগরীর জিলা স্কুল, ভাটিখানা, পোর্ট রোড, নথুল্লাবাদ, কালুখান সড়ক এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের গাবতলা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।