বাংলাদেশ পুলিশে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করলেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের কৃতী সন্তান মো. লালবুর রহমান পিপিএম।
ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দুর্গাপুর উপজেলার শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ সর্ব পেশাজীবী জনসাধারণ।
গত ৩০ মে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ হেড কোয়ার্টার রিক্রুইমেন্ট এ- ক্যারিয়ার প্লানিং -২ শাখার হতে ৪৪.০১.০০০০.০২৮.০৪.০৩৮.২১-৮৭২(১৪৩) নং স্বারকে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এর পক্ষে অ্যাসি¯ট্যান্ট ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন এর স্বাক্ষরিত পত্র মারফত পদোন্নতিপত্র প্রদান করা হয়। দেশে সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদ থেকে ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে ১৭জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পাওয়া মোহাম্মদ লালবুর রহমান (পিপিএম) তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার কাঁচুপাড়া গ্রামে মৃত রায়হান আলীর ও মা আয়জান বেগম এর পুত্র।
মো. লালবুর রহমান দুর্গাপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিভাগ থেকে ২০০৭ সনে অনার্স ও২০০৮ সনে মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশোনা শেষে প্রথমে রাজশাহী পুলিশ লাইন স্কুল এ- কলেজে শিক্ষকতা পেশাই যোগদান করেন তিনি। পরে ২০১২ সনে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন।
লালবুর রহমান (পিপিএম) কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ ২০২০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর শ্রেষ্ঠ পদক (পিপিএম) পদে ভূষিত হন। অপরাধ দমন সাহসিকতার সেবা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য তিনি এ পদক পান। সেই সাথে পিপিএম সাহসীকতা পদক ২০১৭ ও আইজিপি ব্যাস ২০১৯ প্রাপ্ত হন তিনি।
চাকরিকালীন একাধিকবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, পেশাদারিত্বের প্রতি অটল থেকে বিভিন্ন সাহসি অভিযানে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে তিনি চাঞ্চল্যকর সারমিন হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করার কারণে ডিএমপি ওয়ারি ডিভিশনের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ গ্রেপ্তারকারী অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হোন।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার কর্মরত অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মান্দা চৌবাড়িয়া বাজার নামক স্থানে একদল সশস্ত্র ডাকাত দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হন এবং ডাকাতদের দুইজন গুলিবিদ্ধ করে মৃত্যু ঘটান ও চারজন ডাকাতকে ট্রাকসহ গ্রেপ্তার করেন, রাজমিস্ত্রী সেজে খুনের আসামিকে গ্রেপ্তার করা সহ বিভিন্ন ভালোকাজে অংশ নেন তিনি।
সর্বশেষ ২০২৩ সনের ৩১ মে সাবইন্সপেক্টর থেকে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
দুর্গাপুরের কৃতী সন্তান লালবুর রহমান (পিপিএম) ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম, আবদুল মোতালেব মোল্লা, দুর্গাপুর পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, পৌর কাউন্সিলর আনসার আলী সরদার, দুর্গাপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি ও দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার সহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজ ও দুর্গাপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় এর শিক্ষকবৃন্দ।
দুর্গাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি জার্জিস হোসেন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আবু আরিফ রুবেল, ক্রীড়া সংগঠক ইমন বাবু, খাদেমুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, মাসুদ রানা, দুর্গাপুর রেনেসাঁ ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুদরত- ই খোদা, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সালাউদ্দিন কাদির কাজল,
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, দুর্গাপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার আলী, সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু সাধারণ সম্পাদক ছালিম উদ্দিন। দুর্গাপুর সাংবাদিক সমাজের সভাপতি মোবারক হোসেন শিশির, সাধারণ সম্পাদক মিজান মাহী, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল,
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিল খান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিপন, পৌরসভার ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল রানা, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান নিঝুম, ইসরাফিল আলম ও ইমতিয়াজ জামান অয়ন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান আয়নাল, সদস্য সচিব প্রভাষক জোবায়দ আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুর রহমান মন্টু, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, দুর্গাপুর উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক আমিন সহ দুর্গাপুর উপজেলার সকল পেশাজীবী জনসাধারণ।