আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর মাত্র আটদিন বাকী। আর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চলবে আগামী ১০ জুন মাঝরাত পর্যন্ত। তাই একেবারে শেষসময়ে এসে বরিশাল নগরীর সর্বত্র চলছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। পাশাপাশি বিভিন্নকারণে আলোচিত এ নির্বাচনের খুঁটিনাটি নিয়ে নগরী ছাঁপিয়ে গোটা বরিশালজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
কারণ এ নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরিনয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নানা কর্মকান্ডের কারণে এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। তারস্থলে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সম্পূর্ণ রাজনীতি থেকে দূরে থাকা সাদিকের একমাত্র চাচা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। একদিকে জেষ্ঠপুত্র সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়া, অপরদিকে একমাত্র ছোটভাই খোকন সেরনিয়াবাতের মনোনয়ন পাওয়া অনেকটাই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে নেমে ভাতিজা সাদিক আব্দুল্লাহর সময়কার নগরীর প্রত্যেকটি স্তরে ব্যর্থতার কারণে প্রতিনিয়ত চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে। সকল প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে নৌকার পক্ষে অনেকটাই গণজোয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাত। তারপরেও নিজদলের (ভাতিজা সাদিক অনুসারীদের) কারণে প্রতিনিয়ত নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে খোকন সেরনিয়াবাতকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনের শুরুতে সাদিকপন্থি কতিপয় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ শুক্রবার (২ জুন) রাতে নৌকার প্রার্থীর উঠান বৈঠক চলাকালীন সাদিক অনুসারী এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা অপর কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। দুইপক্ষের হামলা ও সংঘর্ষে দশজন আহত হয়। এতে নৌকার উঠান বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীর জয়-পরাজয় অনেকটা প্রভাব পরবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণও হতে পারে এ নির্বাচনের ওপর ভর করে। তাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বরিশাল সিটি নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে নানাকৌশলে সামনে এগুচ্ছেন নৌকা প্রার্থীর পক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় টিমের নেতৃবৃন্দরা। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় টিমের আয়োজনে বরিশাল বিভাগের আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিতীয় বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে গত ২৬ মে বরিশাল জেলার নেতৃবৃন্দদের নিয়ে প্রথম বিশেষ বর্ধিত সভা হয়। জানা গেছে, প্রথম বর্ধিত সভায় নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত অনুপস্থিত থাকলেও দ্বিতীয় বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি (খোকন সেরনিয়াবাত) অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন।
তবে বরিশাল নগরী থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে গৌরনদী পৌরসভার মাঠে অনুষ্ঠিত এ বর্ধিত সভায় তেমন কোন সুফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাদিক বিরোধী নগরীর আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানা অসংখ্য নেতাকর্মীরা। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, বিস্তার অভিযোগের ভিত্তিত্বে বরিশাল সিটির বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে বাদ দিয়ে তার চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুটিভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। নির্বাচনের একেবারেই শেষসময় চলে আসলেও অদ্যবর্ধি সাদিক আব্দুল্লাহ কিংবা তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে জোরালোভাবে মাঠে নামেননি। মাঝেমধ্যে নগরীর সদর রোডে ২/১টি ফটোসেশনের মাধ্যমেই গণসংযোগ শেষ করছেন সাদিক অনুসারীরা। সূত্রের দাবি, সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর মনোনয়ন পাওয়া তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে কিংবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ তার একমাত্র ছোট ভাইয়ের পক্ষে একটিবারের জন্যও বরিশাল নগরীতে আসেননি। খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা একাধিকবার যৌথসভা করে নির্বাচনী মাঠে নামার ঘোষনা দিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই সভাও ডাকা হয়েছে নির্বাচনের ঠিক শেষসময়ে এসে। যারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনার মাত্র সাতদিন বাকি থাকতে সবশেষ বিভাগীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে দ্বিতীয় বর্ধিত সভা শনিবার (৩ জুন) অনুষ্ঠিত হয়। এনিয়ে গণমাধ্যমেও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। তিনি বলেন, ছেলের (সাদিক) নির্বাচনের সময় তার বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে নগরী চষে বেড়িয়েছেন। তিনি (হাসানাত) জেলা, মহানগর ও বিভাগীয় নেতাকর্মীদের বরিশাল নগরীতে জড়ো করে ছেলের পক্ষে কাজ করিয়েছেন। অথচ একমাত্র ভাইয়ের বেলায় তার নিরব থাকার বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
নৌকার পক্ষে বর্ধিত সভা ॥ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমে একযোগে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের শপথ পড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় টিমের প্রধান, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থীর বড়ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সকল মতভেদ ভুলে আগামী ১২ জুন নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ্। আপনাদের হাতে আামার স্নেহের ছোট ভাই খোকন সেরনিয়াবাতকে তুলে দিলাম। কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে শনিবার বিকেলে দ্বিতীয় বিশেষ বর্ধিত সভাটি ছিলো বরিশাল জেলা ব্যতিত বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রদের নিয়ে। বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি আরও বলেন, আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে বিজয়ী করে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। এজন্য বরিশাল নগরীর প্রত্যেক ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের মনজয় করে ভোট চেয়ে আনতে হবে। তাই সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে একযোগে মাঠে নামার জন্য তিনি আহবান করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় টিমের সমন্বয়ক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, আ.স.ম ফিরোজ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত প্রমুখ। সভায় বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী উৎসব ॥ ব্যানার, পোস্টার আর মাইকিং এর জাঁকজমকপূর্ণ এই নির্বাচনে খুব একটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নেই। তবে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার একটি অভিযোগ গত ১ জুন দুপুরে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা পরেছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনী উৎসব বিরাজ করছে। জাঁকজমকপূর্ণ এ নির্বাচনী প্রচারণায় শনিবার সকালের শুরুতে সবার আগে নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগে খুঁজে পাওয়া গেছে, নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে। সকাল দশটার দিকে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ অন্যান্যের সাথে নিয়ে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রকাঠী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমানতগঞ্জ এলাকায় গণসংযোগ করেন। ওইদিন বিকেলে নৌকার প্রার্থী ইন্দ্রকাঠী নয়গাঁও স্কুল মাঠে ও সন্ধ্যায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিবি হাসপাতাল কম্পাউন্ড এলাকার উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে দশটায় নগরীর রূপাতলী, সাগরদী বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, যারা বিরোধী দলকে রাজনীতি করতে সুযোগ দেয়না, নির্বিচারে হামলা, মামলা আর গুম খুনের রাজনীতি করেন এবার ভোটের মাধ্যমে তাদের জবাব দেওয়া হবে। বরিশালে বিগত দিনে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য তাপস বলেন, আপনারা যদি অভিমান করে ঘরে বসে থাকেন, তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবেনা। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাই সবাইকে অবশ্যই মাঠে থাকতে হবে। এর আগে আপনারা ভোটদানে বিরত থাকলে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলে, সেসময় কি অবস্থা হবে সেটা চিন্তা করবেন। তাই ভোট কেন্দ্রে এসে আপনাদের জবাব দিতে হবে। তাপস বলেন, আজ ৪ জুন (রোববার ) সকালে বরিশাল ক্লাবের অমৃত লাল দে মিলনায়তনে আমি আমার পরিকল্পনা তুলে ধরবো। সেখানে বরিশালের সম্মানিত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। শনিবার সকালে নগরীর সদররোড, কাকলীর মোড়, বরিশাল প্রেসক্লাবের প্রধান সড়কে গণসংযোগের পর লাঙল মার্কার প্রার্থী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উল্লিখিত কথাগুলো বলেছেন। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা ধর্ম অবমাননা কিংবা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করিনা। কারণ আমরা সবসময়ই ধার্মিক। যারা অন্যসময় ধর্মের খবর রাখেন না, কিন্তু নির্বাচন আসলে টুপি পড়ে মসজিদে ও দরবারে দৌঁড়ায়, মূলত তারাই ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে। যারা নির্বাচন আসলে আলেম-ওলামাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেয় তারাই মূলত ধর্ম ব্যবসায়ী। তিনি আরো বলেন, আমরা কারো বিপক্ষে বলে কিংবা কারো ব্যাপারে বিষোদগার করে গণসংযোগ করিনা। যারা এসব করছে, বিজয়ী হলে ভিন্নমতের প্রতি তাদের আচরণ কী হবে তা এখনই স্পষ্ট। আমরা বিজয়ী হলে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নগরবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। শনিবার দুপুরে নগরীর মহসিন মার্কেট ও সিটি মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। একইদিন হাতপাখার প্রার্থী নগরীর ১০নম্বর ওয়ার্ডের ডিসি ঘাট, ২৮নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি রোড এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।