রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন ও দুর্গাপুর থানাকে দালাল মুক্ত করায় অবৈধ সুবিধা আদায়ে ব্যার্থ হয়ে একশ্রেনীর টাউট, বাটপার, দালালরা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গাত্রদাহ শুরু করেছে।
সাধারন জনগন নিজেদের বিভিন্ন কাজ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের স্বরনাপন্ন হতে চাইলেই গন্তব্যে পৌছানোর আগেই উপজেলা ও থানা মোড়ে বসে থাকা একশ্রেনীর কিছু টাউট, বাটপার ও দালালদের খপ্পরে পড়ে অর্থ খুইয়েছেন অনেকেই।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন অর্থাৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) যোগদানের পর থেকেই নিজস্ব দপ্তরগুলোকে টাউট, বাটপার ও দালাল মুক্ত ঘোষনা করার কারণে অবৈধ সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাত্রদাহ শুরু করেছে অসহায় সাধারন জনগনদের কথাবার্তা সহ বিভিন্ন ভাবে আকৃষ্ট করে অর্থচোষা একশ্রেনীর কুচক্রি মহল।
তবে গুটি কয়েক টাউট বাটপার দালালরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ্রপ্রচার করলেও প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে দালালমুক্ত করায় উপজেলাবাসী ঘুষ, হয়রানিতে না পড়ে নিজেরা এসে নিজের কাজগুলো স্বস্তিতে করতে পারায় দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দুর্গাপুর থানা পুলিশের ওসি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা সহ দুর্গাপুর উপজেলার সকল পেশাজীবি জনসাধারন। উপর্যুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ দুর্গাপুর উপজেলা ও থানায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, প্রকৃত হতদরিদ্র অসহায় ব্যাক্তিদের সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান, অর্থ, কোনপ্রকার হয়রানী ছাড়াই থানায় মামলা-মোকদ্দমা, সাধারন ডাইরী সহ সকল পুলিশি সহযোগীতা পাওয়া সহ খুন- খারাপি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানী, চাঁদাবাজী, মাদকের অপ্রব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্চার হওয়ায় উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরি উন্নতী হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বত্বিতে নির্বিঘেœ জীবন-যাপন করছে উপজেলাবাসী।
উপজেলা ও থানায় সকল প্রকার দেন দরবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্নবৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে অবৈধ সুবিধা আদায়কারী টাউট, বাটপার, দালাল সহ এক শ্রেনীর কুচক্রি মহল নিজেরা এবং সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোনিত সংবাদ প্রকাশিত করে দেশের ও দেশের সুনাম নষ্ট করা সহ সুশাসন ও ঘুষ ও হয়রানীমুক্ত আইনি ব্যবস্থাকে সাধারন জনগনের মাঝে প্রশ্নবৃদ্ধ করে তুলছে। দেশের সুশাসন, উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘুষ ও হয়রানী মুক্ত ডিজিটাল আইনি সেবা প্রদানের ব্যবস্থাকে যারা বিভিন্ন মহলে প্রশ্নবৃদ্ধ করছে তারা দেশ ও জনগনের শত্রু। এসকল টাউট, বাটপার দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এখনই লাগাম টেনে না ধরলে তারা দেশের বড় ধরনের ক্ষতির চেষ্টা করবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারী আপামর জনসাধারন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রী কৃঞ্চ ও দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক সকলেই এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে দুর্গাপুর উপজেলার উন্নয়ন, সেবা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতী হয়েছে। খুন-জখম, মারামারি, হানাহানি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, জুয়া, চাঁদাবাজী ও মাদক বিক্রি ও সেবন, যৌতুক প্রথা, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ সহ আইন বিরোধী কর্মকা- পূর্বের ন্যায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ,ও,ন,ম নুরুল আলম হিরু মাষ্টার বলেন, বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলায় কর্মরত ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসি সাহেব একবারে আন্তরিক। তারা দেশ ও দশের উন্নতীর জন্য সর্বদা জনগনকে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু টাউট, বাটপার, দালাল শ্রেনীর অবৈধ সুবিধা আদায় করতে না পেরে যেসকল প্রোপগন্ডা ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে জোরদাবী জানাচ্ছি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বানেছা বেগম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা ও দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হক দুর্গাপুরে যোগদানের পর উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, সরকার প্রদত্ব হতদরিদ্র ও ভূমিহীন মাঝে গৃহপ্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে হতদরিদ্ররাই যাতে গৃহ বরাদ্দ পায় সেলক্ষ্যে কমিটি গঠনের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেও মাঝে গৃহ বরাদ্দ ও গৃহ প্রদান করেছে। দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহোদয় দুর্গাপুর থানাকে দালাল মুক্ত করার পর উপজেলার সাধারন জনগন ঘুষ ও হয়রানী মুক্ত পুলিশি সেবা পাওয়ায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বেশ কয়েক বার ওসি নাজমুল হক সাহেব প্রশংসিত হয়েছেন। দালালরা তাদের স্বার্থ দিদ্দি করতে না পারায় উপজেলা প্রশাসক ও ওসি মগোদয়ের বিরুদ্ধে প্রোপগন্ডা ছড়াচ্ছে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের চিহ্নিত করন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। বর্তমানে ভরতের চেন্নাই শহরে সরকারী প্রশিক্ষনে থাকায় এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা’র মন্তব্য বা বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, জনগনের জান-মাল সহ শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাবো। দুর্গাপুর থানাকে দেন-দরবারকারী মুক্ত, মাদক, চুরি, ছিনতাই সহ নানা অপরাধ সহ টাউট, বাটপার ও দালালমুক্ত থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ বলেন, দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক সাহেব দুর্গাপুর থানায় যোগদান করে থানা দালাল মুক্ত করায় স্বার্থনৈশী অর্থলোভী দালালদের অবৈধ রুজি বদ্ধ হওয়ায় তারা ওসি মহোদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অপ্রপ্রচার করছে, কিন্ত্র সাধারন মানুষ তা বুঝতে শিখেছে, তাদের মিথ্যা অপ্রপ্রচারের ফল একদিন তারা ভোগ করবে। তবে ওসি মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এমনি ভাবে সব সময় যেন থানা দালাল মুক্ত থাকে সেই সাথে থানা মোড়ে একখন কিছু কিছু যায়গায় দালালরা জোটবদ্ধভাবে বসে থাকে খদ্দের ধরার জন্য। আমার অনুরোধ থানা মোড়টিও দালালমুক্ত করতে পারলে সাধারন জনগন নিবিঘেœ তাদের সমস্যা নিয়ে সরাসরি থানা প্রশাসনের নিকট জানাতে বাঁধার সম্মূখিন হবেনা। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যোগদানের পর দুর্গাপুর থানাকে দালাল, টাউট, বাটপারদের সকল অবৈধ সুবিধা আদায় বন্দ করে দিয়েছি। হয়রানিমুক্ত পুলিশে সেবা ও সহযোগীতার জন্য দুর্গাপুর থানাকে সাধারন জনগনের জন্য উন্মূক্ত করা হয়েছে। অবৈধ সুবিধা নিতে না পেরে অনেকেই মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে গাত্রদাহ শুরু করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ও নির্দেশনা মতে টাউট, বাটপার ও থানায় অবৈধ সুবিধা আদায়ে দেনদরবার কারী সহ যারা দেশে মিথ্যা প্রোপগন্ডা ছড়িয়ে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার পায়তারা করছে সে সকল ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। দুর্গাপুর থানা এলাকায় কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।